জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে এ বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট। সকাল সোয়া সাতটায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট ৪১৯ জন মুসল্লি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে।
প্রথম ফ্লাইটের সব হজযাত্রীর সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন শেষে রওনা হন তারা। প্রথম ফ্লাইটের সবার ইমিগ্রেশন জেদ্দা বিমানবন্দরে করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে সৌদি আরবের পূর্ণাঙ্গ ইমিগ্রেশন শাহজালাল বিমানবন্দরে করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের কিছু করার নেই। কারিগরি ত্রুটি বাংলাদেশ ছাড়াও একাধিক দেশে হয়েছে বলে জানান তিনি।

এবার ফ্লাইট শিডিউলে বিপর্যয়ের কোন আশঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রী। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট হজযাত্রীরাও। তবে জেদ্দার ইমিগ্রেশন ঢাকায় হওয়ার কথা থাকলেও, কারিগরি জটিলতায় তা হয়নি। দ্রুতই তা নিরসন হবে বলেও আশা সংশ্লিষ্টদের।

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম হজ। আর্থিক ও শারীরিক সামর্থের ওপর নির্ভর এই ইবাদতের প্রস্তুতি চলছে পবিত্র মক্কা নগরীতে। আর বিভিন্ন দেশের হজ পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিরা রওনা দিচ্ছেন সৌদি আরবের উদ্দেশে।

জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়া বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফ্লাইটে হজযাত্রী ৪১৯ জন। এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের মধ্যে, বিমানে যাবেন ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন। বাকিরা সৌদি এয়ারলাইন্সে। যাত্রীদের যেন কোন ধরণের ভোগান্তি না হয়, সেজন্য এজেন্সিগুলোর প্রতি নজরদারির কথা জানান ধর্মপ্রতিমন্ত্রী।

এর আগে হজের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করে, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়; মঙ্গল কামনা করা হয় দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে।