চট্রগামের বাকলিয়া থানার বলিরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গৃহবধূ বুবলি আক্তার (৩৫) খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি শাহ আলম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চার পুলিশ সদস্য।

রোববার (১২ মে) ভোরে বাকলিয়া থানার বলিরহাট কর্ণফুলী নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বুবলি খুনের ঘটনায় জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- নিহত শাহ আলমের ভাই নুরুল আলম ও সহযোগী মো. নবী।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, ‘গৃহবধূ বুবলি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আহত হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তিনি বলেন, শাহ আলমকে গ্রেফতারে অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে শাহ আলম ও তার সহযোগীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাহ আলমকে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওসি নেজাম উদ্দিনসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ।

উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি দিয়ে বুবলি আক্তারকে গুলি করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য শনিবার (১১ মে) রাতে বলিরহাট এলাকায় গুলিতে নিহত হন বুবলি আক্তার।

ঘটনার পর পুলিশ জানান, বুবলি আক্তারের ভাই রুবেলের সঙ্গে স্থানীয় শাহ আলমসহ কয়েকজন যুবকের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা ছিল। রাতে শাহ আলম ও তার লোকজন রুবেলকে মারতে আসে। তখন তারা বুবলি আক্তারকে গুলি করে পালিয়ে যান।