জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ মে ১১, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 323 বার
মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ থেকে জুতা প্রদর্শন করা হয়।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর লালবাগ মোড়ে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে রংপুর রেঞ্জ থেকে অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং স্থায়ী চাকরিচ্যুত করার দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রংপুর বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক রায়হান শরীফের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার পূণ্যভূমি রংপুরে নুসরাত হত্যার সাহায্যকারী মোয়াজ্জেমের ঠাঁই হবে না। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে রংপুর রেঞ্জ থেকে প্রত্যাহার, স্থায়ী চাকরিচ্যুত এবং হত্যার ঘটনায় জড়িত সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্তির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে রংপুরবাসী। এমন আদেশের ফলে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার পূণ্যভূমি রংপুরে নুসরাত হত্যায় ‘সাহায্যকারী’ মোয়াজ্জেমের ঠাঁই হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন রংপুরের সচেতন মহল। অতিসত্ত্বর এ আদেশ ফিরিয়ে নেয়া না হলে মানববন্ধন-সমাবেশসহ আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন সচেতন নাগরিকসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নারী অধিকার সংগঠন। রংপুরে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করারও ঘোষণাও দিয়েছেন কেউ কেউ।
মিজানুর রহমান তুহিন নামে রংপুরের এক জনপ্রতিনিধি তার ফেসবুকে লিখেছেন, রোকেয়ার পূণ্যভূমি রংপুর, নারী লাঞ্ছনাকারী ওই কলঙ্কিত ওসি মোয়াজ্জেম রংপুর এসেছে, প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের কাছে আমাদের অনুরোধ, আমরা রংপুরবাসী তাকে রংপুর বিভাগে দেখতে চাই না। দয়া করে আপনারা মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার রংপুরকে নোংরাদের এনে কলঙ্কিত করবেন না।
ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ আহমেদ নিশাদ লিখেছেন, এর আগে বিতর্কিত শুশান্ত পালকেও ওএসডি করে রংপুরে পাঠানো হয়েছিল।
সোচ্চার হউন, প্রতিবাদ হবেই। রংপুরের পবিত্র মাটিতে ওনার কোনো ঠাঁই নাই। আওয়াজ দেন সবাই কি একমত?
Leave a Reply