স্পেনে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত একটি আর্ন্তজাতিক মানবপাচার চক্র। গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১ জন। শুক্রবার বার্সেলোনা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটি দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে সাড়ে তিনশর বেশি মানুষকে স্পেনে পাচার করেছে। খবর আল-জাজিরার।

পুলিশ জানায়, মানুষদেরকে স্পেনে পাচার করে তাদের হাতে বাংলাদেশের ভুয়া পাসপোর্ট ও বাংলাদেশ পুলিশের ভুয়া চারিত্রিক সনদপত্র দিতো চক্রটি। বার্সেলোনা থেকেই নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করতো তারা।

স্পেনে প্রবেশ করানোর জন্যে পাচার হওয়া মানুষদের কাছ থেকে ১৪ হাজার ইউরো থেকে ২০ হাজার ইউরো পর্যন্ত নেয়া হতো। যা বাংলাদেশের টাকায় বা প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা থেকে সাড়ে ১৯ লাখ টাকা পর্যন্ত। স্পেনের বার্সেলোনায় এই চক্রের ১১ জন অপরাধীকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।

অভিবাসীদেরকে দক্ষিণ এশিয়া থেকে বিমানে আলজেরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে তারা প্রতিবেশী দেশ মরক্কোতে পৌঁছান। এরপর ইঞ্জিন চালিত নৌকায় ভূমধ্যসাগর পার হয়ে আসেন স্পেনে।

তাদের হাতে পাচার হওয়াদের দলে সাড়ে তিনশর বেশি ভুক্তভোগী অভিবাসী ছিলেন। যারা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা থেকে স্পেনে এসেছেন।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক হওয়া চক্রটির অধীনে সাতটি সেল রয়েছে। একটি সেল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে অভিবাসীদের যোগান দেয়। অন্য সেলগুলো পাচার চলাকালীন দেশগুলোতে এই অভিবাসীদের থাকার ব্যবস্থা করে। আরেকটি সেল ভূমধ্যসাগর পার করিয়ে দেয়। এরা ভারতীয় অভিবাসন ইচ্ছুকদের আলজেরিয়ার জাল ভিসা করিয়ে দেয়।

এই অভিবাসীরা যখন স্পেনে প্রবেশ করেন, তাদেরকে ভুয়া বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশ পুলিশের ভুয়া চারিত্রিক সনদ দেয়া হয় স্পেনের স্থায়ী ভিসার আবেদনের জন্য।