লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে যশোদা পরিবহন নামে একটি বাস কাউন্টারে এক নারীযাত্রীকে চারদিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের চার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম থানার ওসি মো. মনসুর আলী।

ইতোমধ্যে বুড়িমারী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোদা পরিবহন বাস কাউন্টারের কর্মচারী রেজাউল ইসলামকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে গোপন সংবাদ পেয়ে পাটগ্রাম থানার ওসি মনসুর আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই কাউন্টারে অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণের শিকার বাসযাত্রীকে উদ্ধার করে। একইসঙ্গে কাউন্টারের কর্মচারী রেজাউল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর গণধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে রেজাউল ইসলামসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতার রেজাউল ইসলামের বাড়ি বুড়িমারী ইউনিয়নের মুংলীবাড়ী এলাকায়। তিনি সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ১৮ মার্চ বুড়িমারীতে আসেন ওই নারী। এরপর তাকে কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়ার নাম করে যশোদা পরিবহনের বুড়িমারী কাউন্টারে নিয়ে গিয়ে সেখানে একটি কক্ষে চারদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত চারজন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোদা বাস কাউন্টারের একটি কক্ষে ওই নারীর কান্নার শব্দ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন পাটগ্রাম থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে পাটগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় কাউন্টারের কর্মচারী রেজাউল করিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ওই নারীর মামলার পর রেজাউল করিমকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

জানতে চাইলে পাটগ্রাম থানার ওসি মো. মনসুর আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ যশোদা বাস কাউন্টার ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক রেজাউল করিমকে হাতেনাতে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে মোট চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন। অপর আসামীদের গেফতার করতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।