জৌতিষ পরামর্শ | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 725 বার
(১) জন্মকুণ্ডলীতে তৃতীয়ভাব থেকে সব ধরনের যোগাযোগ বা দক্ষতা যেমন, পড়াশোনা, লেখালেখি, চিন্তাভাবনা, সেলিং বা মারকেটিং ইত্যাদি বিচার করা হয়। প্রথম বয়সের স্কুলিং, বুদ্ধি, পাবলিক রিলেশান, কর্ম উপলক্ষে যত ধরনের ভ্রমণ আছে, ধ্যান, যোগ, প্ল্যানচেট চর্চা, পুরুষকার বা শক্তির পাওয়ার হাউস।
(২) শনি মানে বাধা বা ধীরে ধিরে অগ্রসর হওয়া। তাই উপরের সব কিছুই লাভ হয়ে থাকে বাধার মাধ্যমে। অবশ্যই উপরে উল্লেখিত কোনও কিছুর পাওয়া থেকে শনি কাউকে বঞ্চিত করে না।
(৩) শনি তৃতীয়ে থাকার জন্য বাইরে থেকে জাতক/জাতিকাকে সে ভাবে কখনই শক্তিশালী বলে মনে হয় না। কিন্তু এরা ভিতরে ভিতরে বেশ শক্তিশালী হয়ে থাকে জীবনযুদ্ধের ফল থেকে। ভারতীয় মতে এইভাব থেকে পুরুষকারের বিচার করা হয়ে থাকে।
(৪) শনির তৃতীয়ে অবস্থানে ভাইবোনের মধ্যে সম্পর্ক বাইরে থেকে দেখলে কেমন যেন শিথিল মনে হয়। কিন্তু বিপদে পড়লে এরা পরস্পর পরস্পরকে ভাল ভাবে আর্থিক সাহায্য করে থাকে। এদের ভাইবোন এক শহরে বাস করলেও নিজেদের মধ্যে যাওয়া আসা কম থাকে।
(৫) প্রতিবেশীর সঙ্গে তেমন যোগাযোগ থাকে না। কিন্তু দূরের লোকের সঙ্গে হার্দিক বা আত্মীয়তার মতো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
(৬) এদের কর্ম উপলক্ষে প্রায়ই ছোটখাটো ভ্রমণ করতে হয়। সপ্তম পতি তৃতীয়ভাবে থাকলে এই ভ্রমণের মাধমে বা খবরের কাগজে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এদের নিজের জীবন সঙ্গী/সঙ্গিনী খোঁজ পেয়ে থাকে।
(৭) শনি তৃতীয়ে থাকায় শিশুকালে এরা একটু ধীরে শেখে। শিশুকালে এদের শিক্ষকভাগ্য বেশ খারাপ থাকে। এদের শিক্ষা যার হাতে পড়ে তারা ভুলভাবে গাইড করে। এর মধ্যে এদের বাবা মায়েরাও পড়ে। বাল্যকালে এরা ক্লাসে মন বসে না।
(৮) তবে এরা যাই শিখুক, সেটা খুব দায়িত্ব নিয়ে শেখে। সেটা বোঝা যায় পরবর্তী কালে, বয়স বাড়ার সঙ্গে। এরা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শিখে চলে।
(৯) এরা যেখানে কাজ করে, খুব দায়িত্ব সহকারে নিষ্ঠাপূর্ণ ভাবে করে থাকে।
(১০) তৃতীয়ে শনির জন্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মায়ের নামের কোনও সম্পত্তি বা টাকা পয়সা থাকলে বা মা মারা গেলে জাতক/জাতিকা তার থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। ক্ষেত্র বিশেষে, যতটা পাওয়া উচিত ততটা পায় না কিছুটা পায়।
(১১) তৃতীয়ে শনি জাতক/জাতিকাকে সেলফ মেড করে গড়ে তোলে। তাই এদের নানা স্বাধীন ব্যবসা বা উদ্যোগে অর্থ আয় করতে দেখা যায়।
(১২) স্কুল শিক্ষায় একঘেঁয়েমির কারণে এরা আজীবন স্বাধীন ভাবে স্বশিক্ষায় নিজেকে শিক্ষিত করে তোলে। তাই এদের মাঝ বয়সের পর থেকে নানা লেখালেখির কাজে আয় করতে দেখা যায়। এদের জীবনে স্কুলশিক্ষা সে ভাবে কোনও প্রভাব ফেলে না। এরা নিজেরাই অনেক কিছু শিখে থাকে। এরা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শিখে থাকে।
(১৩) কমবেশি নানাধরনের গুপ্তজ্ঞান বা জ্যোতিষচর্চা-সহ নানা আধিভৌতিক বিষয় এরা অধ্যয়ন করে থাকে। অনেকে ধ্যানযোগ, হঠযোগ, তন্ত্র, জ্ঞানযোগ, রাজযোগ, প্ল্যানচেটে বসে। এদের ভক্তিযোগে আগ্রহ কম দেখা যায়। অনেকে হাতের লেখা চর্চা, মোবাইল সারানো, কম্পিউটার হার্ডয়ার এক্সপার্ট, অঙ্ক বা লজিক বা বিদেশিভাষা চর্চাও করে থাকে। এরা যাই শিখুক না কেন, তার একটা প্রয়োগের দিক বিচার করে। এদের শেখাটা হবি ও পেশা, এক সঙ্গে দুটোই। অনেকে আবার রেইকি, হোমিওপ্যাথি ও আকুপাংচার চর্চাও করে থাকে।
(১৪) বাল্যকালে বা যৌবনে প্রারম্ভে খেলাধূলা বা শরীরচর্চা করতে গিয়ে হাতে বা পায়ে এমন আঘাত পেয়ে থাকে।
(১৫) যাদের তৃতীয়ে শনি থাকে, তারা বাল্যকালে নিজেদের পিতামাতার স্নেহ থেকে খুব অল্প হলেও বঞ্চিত হয়। এদের পিছনে যতটা অর্থ খরচ করা দরকার সেটা এরা নানা ভাবে পায় না।
(১৬) তৃতীয়ে শনি মামাবাড়ি, কাকা, জ্যাঠার সঙ্গে সে ভাবে সম্পর্ক রাখতে দেয় না।
(১৭) স্কুল জীবনে এরা সে ভাবে শেখে না বলেই পরীক্ষার হলে টুকলি করতে গিয়ে ধরা পড়ে।
(১৮) জাতকের শত্রু থাকলেও যে কোনও কারণেই হোক শত্রুরা এদের একটু ভয় করে চলে।
(১৮) এদের চেহারায় একটা বিষয় থাকে, যার ফলে এরা অপরকে সে ভাবে কাছে টানতে ব্যর্থ হয়। ফলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগে একটা সোশাল গ্যাপ থেকে যায়।
(১৯) এরা যদি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিয়ে থাকে, তবে ভীষণ জনপ্রিয় শিক্ষক হয়। এদের কাছে ছাত্র ও ছাত্রীরা কোনও ভাবেই বোর ফিল করে না।
Leave a Reply