তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতই আচরণ বিধি লঙ্ঘন করুক না কেন আমরা নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকব। ধানের শীষের যে জোয়ার উঠেছে তাকে কোন কিছু করে থামানো যাবে না। শেষ পর্যন্ত জনগণের বিজয় হবে এবং আমাদের নেত্রী মুক্তি পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।সারাদেশে ধানের শীষের পক্ষে যে জোয়ার উঠেছে তাতে সরকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও এবং সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।

বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, যতই দিন যাচ্ছে সরকার বুঝতে পারছে জনগণ তাদের সঙ্গে নাই, মাঠে তাদের ভোট নাই। আর সেই জন্যই তারা ভয়-ভীতি ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ সরকারের এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করবে। তারা ভোট কেন্দ্রে যাবে, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবে। এই ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাবে এবং আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।

পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী লীগের সমর্থকরা সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে মওদুদ আহমেদ বলেন, জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল ছাড়া সরকারের আর কোনো রাস্তা নেই। তাই সন্ত্রাসীরা এখন থেকেই ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করছে।

সারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের লেশমাত্র পরিবেশ নেই দাবি করে তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দূরের কথা, এখন সর্বত্র বিরাজ করছে আন-লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সারাদেশে একই অবস্থা।

মওদুদ বলেন, সরকারি দলের সবকিছু আছে কিন্তু তাদের মাঠে ময়দানে ভোট নেই। এই বাস্তবতা বুঝে তারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে বেছে নিয়েছে। তাই এবারও আদৌ নির্বাচন হবে কি না এটা জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের নির্বাচন আমার জীবনে দেখিনি। তফসিল ঘোষণার পর গ্রেপ্তার অভিযান আরও বেড়েছে। তারপরও আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি জনগণ এবার ভোট কেন্দ্রে যাবেই, সরকারের পতন অবশ্যই হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।