ফরিদপুরে ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে লাঠির আঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে। এসময় লালন ফকির (৫৬) নামে অপর একজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গি চৌরাস্তার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউসুফ নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। আহত লালন ফকির ওই ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আহত লালন ফকিরের ভাই আফসার ফকির জানান, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই মোড় এলাকায় একটি চায়ের দোকানে আড্ডার সময় মজিদ নামে এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তি করেন। এর প্রতিবাদ জানান ইউসুফ আল-মামুন। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে বিতর্কেও ঘটনা ঘটে। এসময় আরও লোকজন এসে ইউসুফকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইউসুফের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সমর্থক। শাস্তিপূর্ণ নির্বাচনকে অশান্ত করার জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , রাত সাড়ে ৮টার সময় নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গা এলাকার একটি চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির সমর্থক মজিদ ও আজিজের নির্বাচন প্রসঙ্গ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কথাকটাকাটি হয়।

নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জমিরউদ্দিন হাজি এ বিষয়ে বলেন, নিহত ইউসুফ ও আজিজ সমবয়সী। তারা একই সঙ্গে চলাফেরা করে।

“আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটি কোনো পরিকল্পিত ঘটনা নয়।”

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সমর্থকদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এলজিআরডি মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এএফএম নাছিম বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর ঘটনার কারণ বলা যাবে।