জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ ডিসেম্বর ১, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 456 বার
তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা বেড়ে দুই শতাধিক ছাড়িয়েছে। টঙ্গীর বাটা গেইট এলাকায় ইজতেমা ময়দানের প্রবেশপথে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষের দফায় দফায় চলা সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। এতে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের সামনের রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিমানবন্দর সড়কে দেখা দিয়েছে চরম যানজট।
আহতদের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে বাড়ছে আহতের মিছিল। হাসপাতালের মেঝেতে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতো সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে ভীড় বাড়ছে স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে। ইজতেমা ময়দানের চতুর্দিকের প্রবেশপথে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর আগে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান দখল নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিমানবন্দর মোড়ে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল সাড়ে একপক্ষ ইজতেমা ময়দান অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে বাধা দেয় অপর পক্ষ। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের আশকোনা এলাকায় তাবলীগ জামায়াতের বিবাদমান দুইটি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার পর থেকে তাদের মধ্যে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
একপক্ষ অপরপক্ষকে ঠেকাতে বিমানবন্দর সড়কের উভয়পাশে অবস্থান নেয়ায় ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা, হাউজ বিল্ডিং, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল।
তাবলিগের একজন মুরুব্বি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ইজতেমা ময়দানে ‘পাহারা’ বসিয়েছে বিবাদমান দু’টি পক্ষের একটি। তাদের অবস্থানের কারণেই আশপাশের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি নেমে এসেছে।
ডিএমপির উত্তরা জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) বলেন, রাজধানীর অদূরে টঙ্গিতে জোর অনুষ্ঠিত হওয়াকে কেন্দ্র করে ফের বিবাদে জড়িয়েছে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপ। এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে ঠেকাতে শনিবার ভোর থেকে উত্তরার বিমানবন্দর সড়কের উভয় পাশে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের ফোর্সরা কাজ করছেন।
Leave a Reply