বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে সহিংসতা রোধে জামায়াত, ছাত্রশিবির, হেফাজত সংশ্লিষ্টদের সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বিলটিতে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথাও উঠে এসেছে।

জামায়াতে ইসলাম, ছাত্রশিবির ও হেফাজতে ইসলামসহ সমমনা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে সবধরনের সহযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে। এতে বলা হয় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির এবং হেফাজতে ইসলামের মত ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয় ঐ বিলে।

একইসঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়।

নির্বাচন সামনে রেখে এ দলগুলো যে সহিংস হয়ে উঠতে পারে মার্কিন কংগ্রেসের এমন ধারণা অমূলক নয় বলে মত দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক এ কে মো. আলী শিকদার।

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে এমন ঘটনা ঘটেছে। শুধু ২০১৪ সালে নয়, ২০০১ সালে নির্বাচনের পরেও বিএনপি জামায়াত-ছাত্রশিবির মিলে সারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছিল সেটা তো বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। বিশ্বসম্প্রদায় কিন্তু ভুলে যায়নি। মার্কিন কংগ্রেসের যে রেজুলেশন সেটার ভেতরে যথার্থতা রয়েছে। তাদের শঙ্কা অমূলক নয়।’

সংখ্যালঘুরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ নিরাপত্তা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।