ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে কথিত ‘সংস্কারপন্থি’ হিসেবে পরিচিত ১২  জন নেতা সব বিভেদ ভুলে বিএনপিতে ফিরলেন। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এক সময়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এসব নেতাদের সক্রিয় হতে নির্দেশনা দিয়েছে দলটির হাইকমান্ড।

 

 

বিভেদ ভুলে ১২ সংস্কারপন্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাকে ফিরিয়ে নিল বিএনপি। তারা বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন।১২ সংস্কারপন্থী নেতা হলেন- সাবেক সাংসদ আলমগীর কবির, সাবেক হুইপ আবু ইউসুফ মোঃ খলিলুর রহমান, আবু হেনা,  জিএম সিরাজ, সর্দার সাকোয়াত হোসেন বকুল, নজির হোসেন, ডা. জিয়াউল হক, আতাউর রহমান আঙ্গুর, ইলেন ভুট্টো, শফিকুল ইসলাম তালুকদার, শহিদুল আলম তালুকদার ও জহির উদ্দিন স্বপন।পরে বৈঠক শেষে সংস্কারপন্থী নেতারা বলেন, বৈঠকে সক্রিয়ভাবে কাজ করার নির্দেশ পেয়েছি। নির্দেশনা অনুযায়ী একযোগে কাজ করে যাবো। আমরা দলে আছি, আগে ছিলাম এবং দলে থাকবো। দলের চেয়ারপারসন জেলে আছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশে আছেন এবং সামনে নির্বাচন আছে। আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করবো। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া বা সংসদ সদস্য হওয়া মূল বিষয় নয়, দলকে টিকিয়ে রাখাই আমাদের লক্ষ্য।সংস্কারপন্থীরা বলেন, বৈঠকে চলমান জাতীয় সংকট, খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সব নির্যাতিত নেতাকর্মীর মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

 

এদিকে দলের সহ-সফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। যার অংশ হিসেবে দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে বেশ কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন মহাসচিব। বৈঠকে চলমান জাতীয় সংকট, খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সকল নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার এবং জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব কালবিলম্ব না করে সকলকে পূর্ণমাত্রায় সক্রিয় হয়ে দলকে শক্তিশালী করার এবং সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান।

পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুযায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এ ধরনের বৈঠক অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।