অপরাধ সংবাদ, জেলা সংবাদ | তারিখঃ অক্টোবর ১৯, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 460 বার
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মালিহাতায় উবার চালক হেলাল উদ্দিনের (৩৫) গলা কাটা লাশ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় রহস্য উৎঘাটন করেছে র্যাব-১৪।
নিহত উবার চালক হেলাল উদ্দিন চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার দুঘর গ্রামের মৃত হোসাইনের ছেলে।
এই ঘটনায় তিনজনকে আটক ও আলামত উদ্ধার করেছে র্যাব।
আটকরা হলেন— ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়ার হাফিজুর রহমান শুভ (১৪), তেজগাঁওয়ের পূর্ব নাখালপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে আবু কাওসার শান্তু (১৮) ও একই এলাকার রাশেদ আহমেদের ছেলে মো. শহীদ আফ্রিদি (১৮)।
আটকরা জানান, চোরাই গাড়ি ক্রয় করার টাকা জোগাড়ের জন্য হত্যা করে উবার চালক হেলাল উদ্দিনকে।
বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের।
তিনি জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সদর উপজেলার মালিহাতার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক অবস্থায় কোনো ধরনের সূত্র ছাড়াই র্যাব সদস্যরা ঘটনা উৎঘাটনে ও আসামি গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।
পরবর্তীতে মৃতদেহ শনাক্ত হওয়ার পর তার স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়।
র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার তেজগাঁও পূর্ব নাখালপাড়া লিচুবাগান এলাকা হতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়।
আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, চোরাই গাড়ি ক্রয়ের টাকা জোগাড়ের জন্য চোরাই সিম ক্রয় করে উবার অ্যাপস চালু করে তারা। ২৭ সেপ্টেম্বর উবার অ্যাপসের মাধ্যমে প্রাইভেটকার চালক হেলাল উদ্দিনের সাথে ঢাকা থেকে হবিগঞ্জে তার অসুস্থ খালাকে দেখতে যাওয়ার নামে বানোয়াট গল্প তৈরি করে ৮ হাজার টাকায় চুক্তি করে।
পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তেজগাঁও এলাকার নাবিস্কো নামক স্থান হতে তারা ভাড়া করা প্রাইভেটকারে না উঠে রাত ৮টার দিকে তারা মগবাজার হতে প্রাইভেটকারে উঠে ঢাকা হতে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। রাত ২টায় হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানার কাটাখালি নামক স্থানে পৌঁছলে পরিকল্পনা মোতাবেক হাফিজুর রহমান শুভ এবং আবু কাওসার শান্ত লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। এতে ড্রাইভার হেলাল লুটিয়ে পড়লে প্রথমে শান্ত ও পরে শুভ তার গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানান, ছিনতাই করে নেয়া প্রাইভেটকারটি তারা বিজয়স্মরণী ফ্লাইভারের নীচে রাখে। যা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ পরিত্যক্ত হিসেবে উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় শহিদ আফ্রিদিও সহযোগিতা করেছে মর্মে স্বীকার করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সিনিয়র এডি চন্দন দেবনাথ।
Leave a Reply