প্রেমিকাকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হওয়ায় গণধর্ষণের জন্য তাকে সাতজনের হাতে তুলে দেন কুমিল্লার চান্দিনায় সুমন মিয়া (২৭) নামে এক যুবক।

সোমবার সন্ধ্যায় ধর্ষিতা প্রেমিকা তার সাবেক প্রেমিকসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। একই রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাতজনকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বেলাশহর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সুমন মিয়া (২৭), তেঘরিয়া গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে হোসাইন মিয়া (১৯), পশ্চিম বেলাশহর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে জাহিদ হাসান (১৯), একই গ্রামের আসম আলীর ছেলে নাজমুল (২৭), মনু মিয়ার ছেলে সোহেল (৩০), হাড়িখোলা মাজার বাড়ির আবু শাহীনের ছেলে আবু মুছা (১৯) ও মোহনপুর গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে সানাউল্লাহ (৩৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার চান্দিনায় টেক্সটাইল মিলের নারী (২৭) শ্রমিকের সাথে পরিচয় হয় সুমন মিয়া নামে এক যুবকের। দুইজনের মধ্যে প্রায় তিন মাস প্রেমের সম্পর্ক চলার পর অন্য একজনকে বিয়ে করেন ওই নারী। কিন্তু প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না প্রেমিক সুমন।

শুক্রবার রাত ৮টায় প্রেমিক সুমন মিয়া তার প্রেমিকার মোবাইলে কল করে জানায় তার স্বামীকে আটক করে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে তার সাবেক প্রেমিকা চান্দিনা হাড়িখোলা মাজার এলাকায় পৌঁছে সুমন মিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় মেয়েটি তার স্বামীর খোঁজ জানতে চাইলে সুমন পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে সাত যুবকের হাতে তুলে দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ওই সাত যুবক পুকুরপাড়ের এক নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।

চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় প্রেমিক সুমন মিয়াসহ সাত ধর্ষককে আসামি করে থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে রাতের মধ্যেই প্রেমিক সুমনসহ সাতজনকে আটক করি। ফারুক নামে এক আসামি ছাড়া সকলকেই আটক করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।