অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ আগস্ট ১৬, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 293 বার
সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযানে ৪৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে এই অভিযান আনা হয়। পরে আটক ৪৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মুচলেকায় এবং মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল মুচলেকা নিয়ে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেন।
এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এতে সেকশনের ৪৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তৎক্ষণাত আটক করে পুলিশ।পরে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় ৪৩ জনকে আটকের ঘটনায় বিক্ষোভ করতে থাকেন কর্মচারীদের একটি অংশ।
পরে আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের মধ্যস্থতায় করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি না মানা, সেকশনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অযথা ও অযাচিত অবস্থান করা এবং ভবিষ্যতে সেকশনে অন্য কোনও অনিয়ম হবে না শর্তে ৪৩ জনকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়। পরে আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ ওই ৪৩ জনের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
এ বিষয়ে রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট একটি পবিত্র বিচারাঙ্গন। এখানে ঘুষ, দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে, এ যুদ্ধে আমরা সবাই শরিক হতে চাই। তবে প্রশাসনিক সহযোগিতা ছাড়াও আমাদের কাজ করা সম্ভব না। তাই আমাদের কিছু নিয়ম রয়েছে, আমাদের এসব নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাই ভবিষ্যতে আর এমন হবে না বলে আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি।’
Leave a Reply