আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের যোগাযোগ ছিল। তারা জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে ইশারা পেয়েছিল। খুনিদের এমন মনোভাব ছিল যে তাদের কিছুই হবে না।

আজ বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে যে বিজয় এসেছিল তার প্রতিশোধ নিতেই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। স্বাধীনতার বিরোধীতাকারীরা দেশকে গড়ে উঠতে দিতে চায়নি।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘বাঙ্গালী হয়ে তারা পাকিস্তানী হানদারকে সাহায্য করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নতি ঠেকাতেই জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল স্বাধীনতার দোসররা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল ইয়াহিয়া।

যুদ্ধের সময় এক বছর কোন ফসল উৎপাদিত হয়নি। একটা দেশ তখন সম্পূর্ণভাবে অচল ছিল। জ্বালাও, পোড়াও, লাশের পর লাশ, রক্তে রঙ্গিন হয়েছিল নদীর পানি। দেশকে গড়ার জন্য জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন।’

একটা দেশ দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিধ্বস্ত একটা দেশকে গড়ে তুলতে হবে। ক্ষত বিক্ষত দেশ। একদিনে এ দেশ গড়ে ওঠে না এই উপলব্দি আসলে ১৫ আগস্ট আসেনি। আসলে এমনটি হতো না। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে ১৫ আগস্টের এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারের হত্যা করার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার বোন রেহানা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলাম। এটা আমাদের দূর্ভাগ্য। এ বাঁচা বাঁচা নয়। মৃত্যুর চেয়েও এ বেশ কঠিন। ৬ বছর আমরা দেশে ফিরতে পারিনি।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পরবর্তী দেশের অবস্থার বিষয়ে বিশদ বক্তব্য তুলে ধরেন। একই সাথে নিজ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা।