জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ মার্চ ৩, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 818 বার
ইউরোপে বাংলাদেশের বিশেষায়িত বাজার সুবিধা ‘জিএসপি প্লাস’ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ করতে জার্মানি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহল্টজ। তিনি বলেন, জিএসপি প্লাস সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে আলোচনা চলছে, বাংলাদেশের এই সুবিধা পাওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার রক্ষা করা জরুরি। কারণ মানবাধিকার সমাজকে একত্রে থাকার জন্য বিশেষভাবে জরুরি বিষয়। রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে আরো টেকসই করার জন্য সুশাসন, বিশেষ করে আইনের শাসন এবং সরকারি অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতার ওপর অত্যধিক গুরুত্ব দিতে হবে। গত কয়েক বছর এ দেশে নির্বাচন নিয়ে যে সমালোচনা চলছে, আমি মনে করি সরকার এটা সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যেতে পারত।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে গতকাল বাংলাদেশ জার্মান কনসালটেশন অন ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন শীর্ষক পরামর্শক সভায় এ তথ্য দেন তিনি। দিনব্যাপী এই পরামর্শক সভায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব ড. গৌরভঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত এবং জার্মান সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সে দেশের ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ফাইন্যান্স মিনিস্ট্রির দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান ড. উটে হেইনবাক। আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে বার্লিনে পরবর্তী মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রদূত ফারেনহল্টজ বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির মেরুদণ্ড হচ্ছে পোশাক রফতানি খাত। বর্তমানে বাংলাদেশ যে টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) বাস্তবায়ন করছে তা অর্জনেও খাতটির ওপরেই নির্ভর করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনার মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি কেউ সমালোচনা না করার মতো নির্বাচন করার সক্ষমতা বাংলাদেশ সরকারের আছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। এই দুর্নীতি শুধু দেশের উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, একই সাথে ভবিষ্যতে দেশে বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, গত ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি জার্মানির অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী জার্ড মুলার বাংলাদেশ সফরের সময় পরিষ্কার করে বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জার্মান সরকার বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের পাশে থাকবে।
ইআরডির অতিরিক্ত সচিব গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত বলেন, জার্মানির অর্থায়ন এবং কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে ১৭টি প্রকল্প রয়েছে।
বৈঠকে বিশেষ করে জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে আলোচনা হয়।
Leave a Reply