আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির (এনরুলমেন্ট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ নিয়ে হাইকোর্টের তিনটি বেঞ্চ অপরগতা প্রকাশ করল। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানির জন্য উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম। এর আগে, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান রিট আবেদনটি দাখিল করেন। পরে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, বুধবার হাইকোর্ট এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করি। কিন্তু হাইকোর্ট রিট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এর আগে গত ২৬ শে নভেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের দ্বৈত বেঞ্চ এবং বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মেস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ থেকেও রিটটি শুনতে অপারাগতা প্রকাশ করা হয়। গত ২১ নভেম্বও, আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় বারবার অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরও হাইকোর্টে এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ শে সেপ্টেম্বর জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে গত ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তাই রিটে ওই গেজেট এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডারের ২১(১)(খ) ও ৩০(৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়। জুম্মান সিদ্দিকীসহ বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।