জেলা সংবাদ | তারিখঃ অক্টোবর ৪, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 433 বার
ডা. মনীষা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বরিশালে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের দাবিতে আমরণ অনশনেই দাবি আদায় করে নিলেন রিকশা চালকরা। অনশনের দ্বিতীয় দিন বৃস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি শাহ সাজেদার নেতৃত্বে নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধি দল কর্মসূচিস্থলে গিয়ে শরবত পান করিয়ে রিকশা শ্রমিকদের অনশন ভাঙান।
ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধি দল বিকেলে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলমের সঙ্গে দেখা করেন। প্রশাসন নগরীর প্রধান সড়ক এড়িয়ে অন্যান্য সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দেন। একই সঙ্গে জব্দ করা রিকশার ব্যাটারি ও মোটর ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। আশ্বাসের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরণ অনশন ভাঙেন রিকশা শ্রমিকরা।
গত ২অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী। অর্ধশতাধিক রিকশা শ্রমিক এ কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ১০ জন নেতা আমরণ অনশনে অংশ নিয়েছেন। আমরণ অনশন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার ২০ রিকশার চালক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধি দল বিকেলে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলমের সঙ্গে দেখা করেন। পুলিশ প্রশাসন নগরীর প্রধান সড়ক এড়িয়ে অন্যান্য সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দেন। একই সঙ্গে এর আগে জব্দ করা রিকশার ব্যাটারি ও মোটর ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। আশ্বাসের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরণ অনশন ভাঙেন রিকশা শ্রমিকরা।
রিকশা শ্রমিকরা জানান, ১৯ আগস্ট থেকে বরিশাল নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদ অভিযান জোরদার করা হয়। এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি রিকশার ব্যাটারি ও মোটর খুলে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে রিকশাগুলো কিনেছেন তারা।
তাদের রিকশা জব্দ করায় ঋণ শোধ করতে পারছেন না। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের জীবিকার পথ। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়ে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন রিকশা শ্রমিকরা।
Leave a Reply