খেলাধুলা | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 707 বার
শুক্রবার ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ছিল দেখার মতো। একেকবার একেকদিকে হেলেছে ম্যাচের গতিপথ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ যে জয়ের দেখা পেলো তা কেবল আফিফ হোসেনের জন্যই। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে একাই ম্যাচ জিতিয়েছেন এই তরুণ। ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা যখন ধুঁকছে তখন ক্রিজে আসেন আফিফ। খেলেছেন ২৬ বলে ৫২ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস। যেটি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতক। শেষ ওভারে মাদজিবার বলে যখন মাসাকাদজার হাতে ধরা পড়েন ততক্ষণে জয়ের বন্দরে পৌছে গেছে বাংলাদেশ।
১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। রানটা খুব বেশি না হলেও চ্যালেঞ্জিং। শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১৭ রান তুলেছিলেন। কিন্তু তৃতীয় ওভার থেকেই যেন পুরোনো রোগ। সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের ব্যর্থতার মিছিল।
আফিফ যখন নামেন তখন একপ্রান্তে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ১০০ রান পার করাই তখন কঠিন মনে হচ্ছিল। মিরপুরের হোম ক্রিকেট এরপরই দেখলো অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প। সেই দুই বছর পরে দলে সুযোগ পেলেন। দেখালেন এই সময়ে আরও পরিণত হয়েছেন। কোনো ধরনের নার্ভাসনেস ছাড়াই প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাকালেন। ঠাণ্ডা মাথায় ছোটালেন স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি। ৮ চার আর ১ ছয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। অন্যপ্রান্তে মোসাদ্দেকও যোগ্য সমর্থন দিয়ে গেছেন। ২৬ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
জয়ের থেকে ৩ রান দূরে থাকতে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে যখন মাসাকাদজার তালুবন্দি হন ততক্ষণে জয় নিশ্চিত বাংলাদেশের। যেটুকু সংশয় ছিল ২ বলে ৬ রান তুলে সেটুকু উড়িয়ে দিলেন সাইফুদ্দিন। ৩ উইকেটের স্বস্তির জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আফিফকে আলাদা করে ধন্যবাদ দিতেই পারেন সাকিব।
Leave a Reply