জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 402 বার
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের গাড়িতে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে দু’জনই আহত হয়েছেন।
মারমারি করা দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন- তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির ও শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ। এরা দুইজনই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন মধুর ক্যান্টিনে আসেন। তিনি যাওয়ার সময় তার সঙ্গে গাড়িতে ওঠেন ছাত্রলীগের অন্য দুই সিনিয়র নেতা জহির এবং আল নাহিয়ান খান জয়সহ আরও কয়েকজন। এদিকে গাড়িতে না উঠতে পেরে ঝামেলা করা শুরু করেন বিদ্যুৎ। একপর্যায়ে শোভন অন্যদেরও গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এটাকে কেন্দ্র করে জহির এবং বিদ্যুতের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে দুজন দুজনকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করতে তেড়ে যান। পরে পাশে থাকা জুনিয়ররা থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় দুজনের মাথা ফেটে যায়। বিদ্যুৎ ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ সাংবাদিকদের বলেন, শোভন ভাইয়ের আশেপাশে এরা কয়েকজন সব সময় থাকে। যাদের কারণে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। আমি এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে আমার উপর চড়াও হন।
বিদ্যুৎ অভিযোগ করে বলেন, জহিরের পুরো পরিবার জামায়াত-শিবির। এরা শোভন ভাইকে বিভিন্নভাবে পরিচালনা করেন। এদের সঙ্গে মূলত আমার আদর্শিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে গাড়িতে বসা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত এটা তিনি অস্বীকার করেন। তার দাবি এটা সিন্ডিকেট-নন সিন্ডিকেট সমস্যা।
তবে জহির এখন কোথায় আছেন এ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। একারণে তাৎক্ষণিকভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জানা যায়, মারামারির পর শোভন আবার গাড়িসহ ফিরে এসে জহিরকে তার গাড়ি করে বাসায় নিয়ে যান। এর আগে বিদ্যুৎকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুজনকে আমি গাড়ি করে নিয়ে এসেছি।
Leave a Reply