রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে বালিশ কাণ্ডের পর এবার আলোচনায় এসেছে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে পর্দা ক্রয়ে দুর্নীতির চিত্র। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে যখন সর্বত্র এমন ঘটনায় সমালোচনা চলছে তখন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন: এগুলো ‘ছিঁচকে’ কাজ। এর সঙ্গে কোন এমপি-মন্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা নেই।

শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন: এ ধরনের ছিঁচকে কাজগুলো যারা করে থাকে তারা নিশ্চয়ই কোন এমপি বা মন্ত্রী নয়। এটা হওয়া ভবনের মত লুটপাটের বিষয় নয়। দেশটাকে লুটপাট করে খেয়েছে হওয়া ভবন। হাওয়া ভবন ছিল তখন খাওয়া ভবন। আমাদের সময়ে লুটপাটের জন্য কোন ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র তৈরি হয়নি। এটা আমি জোরের সঙ্গে বলতে পারি। বালিশ আর পর্দা এটার সঙ্গে হাওয়া ভবনকে মেলানো যাবে না।

জাতীয় পার্টির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন: এটা ঐক্যমতের সরকার নয়। জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে আছে এবং বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। তাদের ওখানে কি হলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী কেন এ বিষয়টি দেখবেন। আমরা চাই বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ থাকুক, শক্তিশালী থাকুক। তাহলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে তাদের নিজেদেরই কাজ করতে হবে এখানে আমাদের কিছু করার নেই।

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে পুলিশের ওপর বোমা হামলাকে বড় ধরনের হামলার সংকেত হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা।

তিনি বলেন: জঙ্গি তৎপরতা একেবারেই থেমে গেছে এমন দাবি কখনোই আমরা করিনি। জঙ্গিবাদ আছে, এটাই বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে আলাদা নয়। পুলিশ ফাঁড়িতে, খেজুর বাগানে, মালিবাগে গুলিস্তানে যে বিক্ষিপ্ত ঘটনাগুলি ঘটছে এগুলো হয়তো টেস্ট কেস হিসেবে করছে। ঘটনাগুলি ঘটছে রিমোট কন্ট্রোলে। কাজেই বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা করাই যায়।

এছাড়া উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন: উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও মদদদাতা দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে শো করা হচ্ছে। এই তালিকায় কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ের নেতা সবাই থাকবে দলীয় সংগঠন শৃঙ্খলা প্রশ্ন কারো প্রতি শৈথিল্য দেখাবে না দল।