অর্থনীতি | তারিখঃ আগস্ট ১৬, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 556 বার
ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উপলক্ষে চলতি আগস্টের প্রথম ১০ দিনে প্রায় ১৭৫ কোটি ডলারের রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। মুদ্রা বিনিময় হার (৮৪.৫০) অনুযায়ী যা ১৪ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। বন্ধের দিনগুলো বাদ দিলেও মাস শেষ হওয়ার বাকি আরও ১০ দিন। এ সময়ে তা রেকর্ড ১৮০ কোটি ডলার ছাড়ানোর প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও রেমিটেন্স গ্রহণের শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটি ৯ আগস্ট পর্যন্ত রেমিটেন্স পেয়েছে ১৪ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।
এছাড়া ১০ আগস্ট পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ১০ কোটি ডলার। ৯ আগস্ট পর্যন্ত ৬ কোটি ২৯ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পেয়ে তৃতীয় স্থানে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।
এ সময় ৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পেয়েছে সোনালী ব্যাংক। জনতা ব্যাংক পেয়েছে ৩ কোটি ১৪ লাখ ডলার। সাউথইস্ট ব্যাংকের রেমিটেন্সও প্রায় ৩ কোটি ডলার।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস উল ইসলাম বলেন, রেমিটেন্স পেতে ঈদের আগে শুক্র-শনিবার ছুটির দিনেও সারা দেশে ১৭৯টি শাখা খোলা রেখেছিলাম। এছাড়া সরকারি ব্যাংকের মধ্যে প্রথমবারের মতো অগ্রণী ব্যাংক সিঙ্গাপুর থেকে বিকাশের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স এনেছে। সব মিলিয়ে মাত্র ১০ দিনেই ১০ কোটি ডলার রেমিটেন্স আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
জনতা ব্যাংকের এমডি আবদুছ ছালাম আজাদ বলেন, কোরবানির ঈদে রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধি ভালো। অন্য ঈদের তুলনায় এবার রেমিটেন্স বেশি এসেছে। মাস শেষ হলে রেমিটেন্স আরও বাড়বে।
এদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছর শুরু হয় রেমিটেন্স প্রবাহের সুখবর দিয়ে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৬০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিটেন্সের এ অংক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ২১ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও ভালো প্রবৃদ্ধি নিয়ে শুরু হয়েছে।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এছাড়া ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়ার কারণেও রেমিটেন্স বাড়ছে।
এর আগে রোজা ও ঈদ সামনে রেখে মে মাসে ১৭৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার রেমিটেন্সে আসে, যা ছিল মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তার আগে ১ মাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে, ১৫৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার। সূত্র-যুগান্তর
Leave a Reply