জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ আগস্ট ১৩, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 375 বার
রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন এলাকায় কুরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কেনার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি বছর এই ঈদের সময় পশুর চামড়া সংগ্রহ করতে বিভিন্ন অলিতে-গলিতে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দেখা যেত। এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম একেবারেই কম বলা চলে। যাঁরা কোরবানি দিয়েছেন তাঁরা যেমন চামড়ার দাম পাননি, তেমনি দাম পাচ্ছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও।
সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, আর্থিক সংকটে আড়তদারেরা চামড়া কিনতে পারছেন না। আবার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম একবারেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, চামড়ার দাম নিয়ে অন্তরালে কেউ কেউ নোংরা খেলা খেলে নিজেরা লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছেন।
রাজধানীর বিভিন্নস্থান ঘুরে দেখো গেছে, কুরবানির পর বেশিরভাগ পশুর চামড়া রাস্তায় পড়ে আছে। অনেক বেলা চামড়াগুলো কেনার জন্য কেউ-ই আসেননি। পরে যাও দুই- একজন আসছে তারাও চামড়ার দাম খুব কম বলেছেন।
পরে ভালো ও বড় মানের কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকায়। আর মাঝারি মানের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকায়।
এদিকে ঢাকার বাইরে চামড়ার দাম আরও কম বলে খবর পাওয়া গেছে।
চামড়ার দাম নিয়ে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার চাহিদা কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে আমাদের ওপরও। আর এবার কাঁচা চামড়া কেনার চেয়ে লবনযুক্ত চামড়া কেনার দিকে ঝোঁক বেশি ব্যবসায়ীদের।
প্রসঙ্গত, এবার গরুর কাঁচা চামড়ার দাম ঢাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। সারাদেশে খাসির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১৩ থেকে ১৫ টাকা।
Leave a Reply