যৌন কেলেঙ্কারির মামলায় আদালতে বিচার চলা মার্কিন বিনিয়োগকারী এবং ধনকুবের জেফরি এপস্টেইনের মৃতদহ উদ্ধার হয়েছে।

নিউ ইয়র্কের একটি কারাগারের কক্ষ থেকে স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, জেফরি আত্মত্যা করেছেন। কারাকক্ষে এর আগেও তাকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ওই অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা।

গত জুলাই মাসের শুরুতে প্যারিস থেকে ফেরার পর বিমানবন্দরেই ৬৬ বছর বয়সী জেফরিকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৪৫ বছরের জেল হতে পারে।

এক দশক আগেও জেফরির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন বিচারিক দুর্বলতার কারণে মাত্র ১৩ মাস জেলে থাকার পর বেরিয়ে যান তিনি। সে সময় তাকে যৌন অপরাধী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে এফবিআই। একই সঙ্গে তার যৌন অপরাধের ভুক্তভোগী কয়েকজন নারীকে ক্ষতিপূরণও দেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জেফরি নারী পাচারের এক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। যাদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করতেন তিনি। তাদের অনেকেরই বয়স ১৮-এর নিচে এবং সেই দলে ১৪ বছরের কিশোরীও ছিল।

নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওইসব নারদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন জেফরি। এর বিনিময়ে তিনি তাদের অর্থ দিতেন। আবার ওই যৌনদাসীদের তিনি তার জন্য নতুন নারী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের নিয়ে আসতে বলতেন। এর জন্য তারা পর্যাপ্ত অর্থও পেতেন। এভাবেই যৌন অপরাধের এক বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন জেফরি।

জেফরি যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী ধনকুবের, যার সঙ্গে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন থেকে শুরু করে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি ব্রিটেনের প্রিন্স এন্ড্রুর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তার।

২০১৫ সালেও জেফরি একবার যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তখন ফ্লোরিডায় করা মামলায় এক নারী অভিযোগ করেছিলেন, অপ্রাপ্ত বয়সে জেফরি তাকে অনেক পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনে বাধ্য করেন।