অর্থনীতি | তারিখঃ আগস্ট ৭, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 552 বার
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে ছয় বছরের বেশি সময়ের সর্বোচ্চে পৌঁছে গেছে। মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধে নতুন মাত্রা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণে বিনিয়োগে ঝুঁকছে। এতে চাহিদায় বাড়তি চাপ পড়ায় মূল্যবান ধাতুটির দামে চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে। খবর রয়টার্স ও বিজনেস রেকর্ডার।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সর্বশেষ কার্যদিবসে স্বর্ণের দাম আগের কার্যদিবসের তুলনায় গড়ে ১ শতাংশ বেড়ে যায়। কার্যদিবসের শুরুতে মূল্যবান ধাতুটির স্পটমূল্য আগের কার্যদিবসের তুলনায় দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ১ হাজার ৪৫২ ডলার ৯৯ সেন্টে হাতবদল হয়, যা গত ছয় বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৩ সালের মে মাসে মূল্যবান ধাতুটির দাম আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৪৫৫ ডলার ২৬ সেন্টে উঠেছিল।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১ হাজার ৪৬৫ ডলারে বেচাকেনা হয়, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। এ সময় প্রতি আউন্স রুপার দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১৬ ডলার ৪৮ সেন্টে কেনাবেচা হয়। আর প্রতি আউন্স প্লাটিনাম বিক্রি হয় ৮৫১ ডলার ৮৪ সেন্টে, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
লন্ডনভিত্তিক সংস্থা সিএমসি মার্কেটের প্রধান বাজার কৌশলবিদ মাইকেল ম্যাকার্থি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এ অবস্থায় বিনিযোগকারীদের কাছে সেভ হেভেনের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। এতে স্বর্ণ নিশ্চিতভাবে উপকৃত হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে আমদানীকৃত ৩০ হাজার কোটি ডলারের সমমূল্যের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। প্রত্যুত্তরে চীনও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, দেশটি অবশ্যই ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়বে।
এ পরিস্থিতিতে বাণিজ্যযুদ্ধের ঝুঁকিপূর্ণ প্রভাব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) আরো বেশি সুদহার কমাতে বাধ্য হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা। গত মাসে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠকে এক দশকের বেশি সময়ের পর ফেড বিদ্যমান সুদহার কর্তন করেছে। এখন বিশ্লেষকরা মনে করছে বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে আগামী সেপ্টেম্বরে ফেডকে আরেক দফা সুদহার কমিয়ে আনতে হতে পারে।
Leave a Reply