জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ আগস্ট ৬, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 469 বার
আজ বাইশে শ্রাবণ। বাঙালির প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৩তম মহাপ্রয়াণ দিবস। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৬৮ বাংলা সালের পঁচিশে বৈশাখ (ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৭ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতা সারদাসুন্দরী দেবী। রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুুরুষেরা খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগে বাস করতেন। বাংলা ১৩৪৮ সালের বাইশে শ্রাবণ (ইংরেজি ৭ আগস্ট ১৯৪১) কলকাতায় পৈতৃক বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে যার অফুরন্ত অবদান সেই কবিগুরু ভক্তদের যেদিন না-ফেরার দেশে যাত্রা করেন সেদিন শোকার্ত বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে লিখেছিলেন- ‘দুপুরের রবি পড়িয়াছে ঢলে অস্তপারে কোলে/বাংলার কবি শ্যাম বাংলার হৃদয়ের ছবি তুমি চলে যাবে বলে/শ্রাবণের মেঘ ছুটে এলো দলে দলে।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, ভাষাবিদ, চিত্রশিল্পী-গল্পকার। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে ‘তত্ববোধিনী’ পত্রিকায় তার প্রথম লেখা কবিতা ‘অভিলাষ’ প্রকাশিত হয়। অসাধারণ সৃষ্টিশীল লেখক ও সাহিত্যিক হিসেবে সমসাময়িক বিশ্বে তিনি খ্যাতিলাভ করেন। লিখেছেন বাংলা ও ইংরেজি ভাষায়। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় তার সাহিত্যকর্ম অনুদিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের পাঠ্যসূচিতে তার লেখা সংযোজিত হয়েছে। ১৮৭৮ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিকাহিনী’ প্রকাশিত হয়। এ সময় থেকেই কবির বিভিন্ন ঘরানার লেখা দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেতে থাকে।
বাহাত্তর বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে না-ফেরার দেশে চলে গেলেও অসামান্য রচনা ও সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে আজো বেঁচে আছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি এখনো দুই বাংলার মানুষের প্রেরণার এক অন্তহীন উৎস। কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করা রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে বাঙালির সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বজনীন হয়ে ওঠে। ১৯১৩ সালে প্রথম বাঙালি এবং এশীয় হিসেবে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল এনেছিলেন তিনি।
Leave a Reply