ঢাকঢোল পিটিয়ে চারলেন রাস্তা উদ্বোধন করে সরকার খালাস।চার লেনের সুফল জনগন আদৌ পাচ্ছে কিনা সেদিকে নজর নেই সংশ্লিষ্টদের ।ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। চট্রগামমুখি হোক অথবা ঢাকামুখী হোক কোনমুখী যানবাহনের নড়নচড়ন হয়না ঘন্টার পর ঘন্টা। মহাসড়কে আটকা পড়ে থাকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ শতশত গাড়ি। মহাসড়কের ফেনীর ফতেপুর রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ কাজ চলায় যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। এতে মহাভোগান্তিতে পড়েছে গাড়ির চালকসহ এই পথ দিয়ে যাতায়তকারীরা। অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ বা বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না করেই চলছে এর নির্মাণকাজ। মহাসড়কের চার লেনের গাড়িগুলোকে এ এলাকায় এসে পার হতে হচ্ছে এক লেনে। ফলে ফেনীর এ অংশে দীর্ঘ ও স্থায়ী যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ যানজটের কারণে ৮/১০ ঘণ্টা পর্যন্তও আটকে থাকতে হচ্ছে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহনকে।
মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোলপ্লাজাও যানজট বাড়াচ্ছে মহাসড়কটিতে। চার লেনের সড়কে দুই লেনের মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোলপ্লাজায় প্রতিদিনই দীর্ঘ যানজট লেগে থাকছে। যানজট নিরসনের লক্ষ্যে সেতু দুটিতে টোল আদায়ের বুথ সংখ্যা চার থেকে বাড়িয়ে আটটি করা হয়েছে। এতে যানজট না কমে উল্টো যান চলাচলে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে।
।এছাড়া যত্রচত্র গাড়ী পার্কিং,ফিটনেসবিহীনলক্কর ঝক্কর মার্কা যানবাহন যখন তখন বিকল হয়ে মহাসড়কে প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি করছে। ফেনীর ফতেপুরের যানজট এড়াতে ঢাকা চট্রগ্রাম রুটে চলাচলকারী যানবাহন বেশকিছুদিন ধরে নোয়াখালীর উপর দিয়ে চলাচল করেছে কিন্তু কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্ব রোড থেকে নোয়াখালীর চোমুহনী শহরের চৌরাস্তা পর্যন্ত রাস্তাটি খানাখন্দে ভরপুর হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিলাসবহুল যাত্রীবাহী বাসগুলো।
কোটি কোটি টাকা দিয়ে রাস্তা বানিয়ে তার সুফল জনগন পাচ্ছে না। ভুল পরিকল্পনা বা যথাযথ পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এমনটি হচ্ছে।