অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ জুলাই ৭, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 379 বার
রাজধানীর ওয়ারীতে শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত হারুন পুলিশের কাছে সায়মাকে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। রোববার (০৭ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এই ধর্ষক ছোট্ট সায়মা হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। রোববার দুপুরে ব্রিফ্রিংয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেন ডিএমপি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।
তিনি জানান, হারুন বাড়ির ছাদ ঘুরিয়ে দেখানোর কথা বলে সামিয়াকে নয় তলার নির্মাণাধীন ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানেই ধর্ষণ করে। এরপর নিস্তেজ সায়মাকে মৃত ভেবে গলায় রশি বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে রান্নাঘরে রেখে পালিয়ে যায়।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার ডাবরডাঙ্গার নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে হারুন-অর রশীদকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে আব্দুল বাতেন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় শিশু সায়মা তার মাকে আটতলায় যাওয়ার কথা বলে। আটতলার ওই ফ্ল্যাটের মালিক পারভেজেরও শিশুকন্যা রয়েছে। মূলত তার সঙ্গে খেলতেই সেখানে যায় সামিয়া।
পারভেজের স্ত্রী সায়মা জানায়, তার মেয়ে ঘুমাচ্ছে। এরপর সে নিজের ফ্ল্যাটে ফিরতে লিফটে ওঠে। সেখানেই দেখা হয় পারভেজের খালাতো ভাই হারুনের সঙ্গে। পূর্বপরিচিত হওয়ায় হারুন সামিয়াকে ছাদ ঘুরে দেখানোর লোভ দেখান। এতে সেও রাজি হয়ে যায়।
আব্দুল বাতেন বলেন, ‘পরে ছাদে নিয়ে গিয়ে হারুন সামিয়ার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালান। যন্ত্রণায় চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরে। এক সময় সায়মা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তখন মৃত ভেবে রশি গলায় বেঁধে রান্নাঘরের সিঙ্কের নিচে রেখে কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গায় পালিয়ে যান হারুন।’
এদিকে নৃশংসভাবে সায়মাকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে তার সহপাঠীরা। সকালে সিলভারহেড স্কুলের সামনে মানববন্ধন করে তারা। পরে সেখানে বিক্ষোভ করা হয়। শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অভিভাবক ও শিক্ষকরা বিক্ষোভে অংশ নেন।
এ সময় হত্যার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়। এ ধরনের ঘটনা আর যেন না ঘটে সে ব্যাপারে এখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা। ৭ বছর বয়সী সায়মা শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর একই ভবনের আটতলায় অব্যবহৃত একটি ফ্ল্যাটের রান্না ঘরে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply