নাটোরে মৌমিতা আক্তার মৌ নামের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে তার দুলাভাই সোহাগ হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাইনুল হক এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম সোহাগ হোসেন । তার বাড়ি শহরের উত্তর বড়গাছা জোলারপাড় এলাকায়। পৃথক দুটি ধারায় সোহাগ হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার ১ লাখ টাকা আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রদানের জন্য রাষ্ট্রকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট শাহজাহান কবির জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ হোসেনের সঙ্গে ২০১২ সালে সদরের নারায়ণপুর এলাকার মোমিন হোসেনের মেয়ে মৌসুমীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর সোহাগ মৌসুমিকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে কিছু দুরে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। ২০১৭ সালের ১০ জুলাই বিকেলে মৌসুমির বাড়িতে বেড়াতে আসে তার বোন মৌমিতা। বোন বাড়িতে না থাকায় দুলাভাই সোহাগ তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেন।

এরপর তার লাশ পার্শ্ববর্তী একটি পাটখেতে ফেলে দেয়। এলাকাবাসী পাট খেতে মৌমিতার লাশ দেখে পরিবার ও পুলিশকে খবর দেয়।

এই ঘটনায় পুলিশ তার দুলাভাই সোহাগকে আটক করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন মৌমিতার বাবা মোমিন হোসেন বাদী হয়ে সোহাগ হোসেনকে অভিযুক্ত করে নাটোর থানায় মামলা করেন। পুলিশ সোহাগকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে এই রায় দেন। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজার পরোয়ানা বলে সোহাগ হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী জানান, তারা আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

তবে অভিযুক্ত সোহাগ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান না করায় মৌমিতার পরিবার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান কবির।