অপরাধ সংবাদ, জেলা সংবাদ | তারিখঃ মে ১১, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 437 বার
জামালপুরে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে নির্যাতিতা বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিবরণে বলা হয়, মেলান্দহ উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তার বাড়ির কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ায় বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ৮ মার্চ পাশের গ্রামের এক দরিদ্র ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়।
শুক্রবার (১০ মে) ভোরে একটি মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে মেয়েটি। বিয়ের দুই মাসের মাথায় সন্তান প্রসব করায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। শিক্ষা কর্মকর্তার অপকর্মের বিষয়টি জানালে, অভিযুক্ত মাজেদুল ইসলামের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় তাকে আসামি করে মামলা করেন নির্যাতিতা।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানায়, ১ বছর আগে সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল মোতালেব মাস্টারের ছেলে মাজেদুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নিই। মাজেদুল ইসলাম মেলান্দহ উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার স্ত্রী নাজমা আক্তার স্কুলশিক্ষিকা। তাদের বাসায় কিছুদিন কাজ করার পর থেকে গৃহকর্তা মাজেদুল ইসলাম স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রতি শনিবার আমাকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করতেন। একপর্যায়ে আমাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা ফাঁস না করার জন্য আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন মাজেদুল। এরপর থেকে প্রতি শনিবার স্ত্রী স্কুলে চলে যাওয়ার পর নিয়মিত আমাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন মাজেদুল।
গৃহকর্মী আরও জানায়, কয়েক মাস পর আমার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দেয়। বিষয়টি দেখে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম দুই মাস আগে পিঙ্গলহাটি গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে আমার বিয়ে দেন। বিয়ের দুই মাস পার হলেও আমার পিরিয়ড না হওয়ায় শাশুড়ি ওষুধ খাওয়ান। পরে আমার একটি মৃত ছেলে সন্তান হয়। বিয়ের দুই মাসের মাথায় সাত মাসের সন্তান প্রসব হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে সমালোচনা শুরু হয়। পরে সবাই বিষয়টি জেনে যায়। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় আমি ও আমার মৃত সন্তানকে বাবার বাড়িতে রেখে যায় স্বামী ও শাশুড়ি।
এরপর বিষয়টি সবাইকে খুলে বলি আমি। কারণ আমার সন্তানের বাবা বাস্তবে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম। বিষয়টি আমার পরিবার ও স্থানীয়দের জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সবাই। ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পরই পালিয়ে যান মাজেদুল ইসলাম।
Leave a Reply