অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ এপ্রিল ১৯, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 632 বার
মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফীকে যৌন নিপীড়নের পর আগুনে পুড়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার বিকেলে পৌরসভার তাকিয়া রোড এলাকার নিজ কার্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন দলীয় একাধিক সূত্র।
আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সদ্য সাবেক ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
পিবিআই জানিয়েছে, এক আসামির সঙ্গে তার ছয় সেকেন্ডের কথোপকথনের অডিও সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই আসামির স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফেনীর পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান তাকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাহাদাত হোসেন শামীম নামে এক আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জাবনবন্দিতে রুহুল আমিন জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
‘সে মোতাবেক মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে ওই আসামির সঙ্গে তার ছয় সেকেন্ডের কথোপকথনের সত্যতা মিলেছে।’
রুহুল আমিনের চাচাতো ভাই লিটন মেম্বার জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পিবিআই সদস্যরা পৌরসভার তাকিয়া রোড এলাকার নিজ বাসভবন থেকে রুহুল আমিনকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় । রুহুল আমিনকে তুলে নেওয়ার সময় তারা নিজেদের পিবিআই সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা বলেছেন, তাদের ‘স্যার’ রুহুল আমিনের সঙ্গে কথা বলতে চান।
Leave a Reply