রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ প্রমাণের ব্যর্থতায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিনসহ চারজন। তবে এ মামলার অপর দুই আসামিকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান রায় ঘোষণা করেন। ঘটনার প্রায় নয় বছর পর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- সাইদুর রহমান ও তৌহিদুল আলম। সাজার পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের দণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের।

খালাসপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- হিযবুত তাহরীরের যুগ্ম সমন্বয়ক কাজী মোরশেদুল হক প্লাবন, সদস্য তানভীর আহম্মেদ ও আবু ইউসুফ আলী। পলাতক থাকায় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে তাকওয়া মসজিদের পশ্চিম পাশে হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের কিছু সদস্য জড়ো হন। তাঁরা সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা করে জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করেন। উত্তরা থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে এবং তাঁদের কাছ থেকে সরকারবিরোধী লিফলেট, পেট্রলবোমা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে উত্তরা থানা-পুলিশ। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তদন্ত শেষে হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ ১৬ সাক্ষীর মধ্যে সাতজনকে উপস্থাপন করেছে।