পাকিস্তানে মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানির ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের ওপর হামলার আশঙ্কা জানিয়ে সরকারের কাছে তাদের জন্য দেহরক্ষী চেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবির কথা জানান।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২২ মার্চ) মুসলিম বিশ্বের বিশিষ্ট স্কলার পাকিস্তানের মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানির গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় তিনি অক্ষত থাকলেও অপর গাড়িতে থাকা তার দুজন দেহরক্ষী নিহত হন এবং গাড়িচালক ও তার এক সফরসঙ্গী গুরুতর আহত হন।

মুফতি তাকি উসমানি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি। তিনি মুসলিম স্কলার হিসেবে সারা বিশ্বেই পরিচিত। বাংলাদেশেও তার প্রচুর ভক্ত-অনুরাগী রয়েছে। তার প্রচুর বই বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আহমদ শফী বলেন, ‘বাংলাদেশেও যে এমনটা হবে না, তা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যায় না। আমি মনে করি, শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামদের নিরাপত্তার জন্য দেহরক্ষী রাখা জরুরি। কারণ তারা দেশের অমূল্য সম্পদ এবং মুসলিম উম্মাহর পথপ্রদর্শক। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

আহমদ শফী বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘সারাবিশ্বে মুসলমানরা নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার। বড় সংকটময় পরিস্থিতিতে তারা জীবনযাপন করছেন। পৃথিবীর প্রায় সবকটি মুসলিম দেশ শত্রুদের দ্বারা আক্রান্ত। পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতির কালোথাবা মুসলিম উম্মাহকে পর্যুদস্ত করে চলেছে।’

বিবৃতিতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী দাবি করেন, ইহুদি-খ্রিস্টান ও শিয়া সম্প্রদায় মুসলিম উম্মাহকে নেতৃত্বশূন্য করতে শীর্ষস্থানীয় আলেমদের হত্যার টার্গেট নিয়েছে। তাই বিশ্বের সব মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে নিজ নিজ দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও আহ্বান জানান তিনি।