অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ মার্চ ৫, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 539 বার
পরকীয়া টিকিয়ে রাখতে ও স্বামীর জমি বিক্রির টাকা আত্মসাতের উদ্দেশেই মাত্র তিন হাজার টাকায় ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামী আমিনুল ইসলাম কালুকে হত্যা করায় রিক্তা বেগম। স্বামীকে খুনের সময় স্ত্রী রিক্তা ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। হত্যার আগে ঘাতকদের এক হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। বাকি দুই হাজার টাকা দেওয়া হয় হত্যা সম্পন্ন হওয়ার পর। গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী রিক্তা, তার কথিত প্রেমিক পলাশ, ভাড়াটে খুনি মাসুদ ও ইমরান।
সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আহমেদ হুমায়ূন কবীর, ফাহমিদা খাতুন, মাহমুদুল মহসীন ও আফতাবুজ্জামানের আদালত পৃথকভাবে ১৬৪ ধারায় এ চার আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।
শনিবার সকালে সোনারগাঁ উপজেলার কাইকারটেক কাফুরদী এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীর থেকে আমিনুল ইসলাম কালুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন কালুর ভাই সামছুল হক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন। এরপরই বেরিয়ে আসে হত্যার রহস্য। নিহত কালু সিদ্ধিরগঞ্জের এনায়েত নগর এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ওই এলাকাতেই স্ত্রী রিক্তা বেগমকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার এসআই রাজু মণ্ডল জানান, কালুর স্ত্রী রিক্তা বেগম তাদের ঘরের পাশের একটি কক্ষ ব্যাচেলর ভাড়া দেন। রিক্তা ব্যাচেলরদের জন্য রান্না করে দিতেন। সেই ব্যাচেলরদের একজন রেজাউল করিম পলাশ। একসময় পলাশের সঙ্গে রিক্তার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এসআই রাজু আরও জানান, এর মধ্যে কালু গ্রামের জমি বিক্রি করে দুই লাখ টাকা ঘরে এনে রাখেন। সেই টাকা থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা স্ত্রী রিক্তা তার প্রেমিক পলাশকে ধার দেন। সম্প্রতি কালু স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে রিক্তাকে বাধা দেন এবং ধার দেওয়া এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাগিদ দেন। এর পরই রিক্তা ও পলাশ কালুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পলাশ তিন হাজার টাকা চুক্তিতে মাসুম ও ইমরান নামে দুই যুবককে ভাড়া করে। এরপর কালুকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় বেড়াতে নিয়ে যান স্ত্রী রিক্তা। এক পর্যায়ে রিক্তা স্বামী কালুকে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই পলাশসহ ভাড়াটে খুনি মাসুম ও ইমরান অপেক্ষায় ছিল। তারা যাওয়া মাত্রই রিক্তার সামনেই তিনজন কালুকে গলা কেটে হত্যা করে।সূত্র-সামকাল
Leave a Reply