চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত যুবকে পলাশ আহমেদের সঙ্গে এক বছর আগেই বিয়ে হয় চিত্রনায়িকা সিমলার। মাদ্রাসা পড়ুয়া পলাশ সিমলাকে বিয়ে করা আগেই জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। পলাশ র‌্যাবের তালিকাভুক্ত একজন মাদক ব্যবসায়ী। মাদকাসক্ত জীবন তাকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে। তার পরিবার সূত্রে এসব কথা জানা যায়।

পলাশের পরিবার আরও জানায়, পলাশের আগের এক স্ত্রী রয়েছে। তার নাম মেঘলা। মেঘলার বাড়ি বগুড়ায়। এই ঘরে আয়ন নামে পলাশের আড়াই বছর বয়সের এক সন্তান রয়েছে। পলাশের প্রথম স্ত্রী ও সন্তান বর্তমানে দুধঘাটার বাড়িতে থাকেন।

সোমবার সকালে পলাশের মা জানান, তার ছেলে ছিনতাই বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল না। ২০-২৫ দিন আগেই পলাশ ঢাকা থেকে সোনারগাঁওয়ের পিরোজপুরে দুধঘাটা গ্রামে আসে। এসেই সে দুবাই যাওয়ার কথা বলে শুক্রবার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর পুলিশের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন পলাশ চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে গুলিতে মারা গেছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১১ সালে সোনারগাঁওয়ের তাহিরপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর সোনারগাঁও ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয় পলাশ। অভিযোগ রয়েছে, এরপরই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে সে জড়িয়ে পড়ে। সবশেষ পলাশ ঢাকায় ইয়াবা ব্যবসা করতো। র‌্যাবের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় পলাশের নাম রয়েছে। তখনই ঢাকায় সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে তার চলাফেরা শুরু হয়। চলচ্চিত্র অঙ্গনে চলাফেরার সুবাদে সে একটি শর্ট ফিল্ম নির্মাণ করে।

শর্ট ফিল্ম নির্মাণের পরই চিত্রনায়িকা সিমলার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বিয়ের পর পলাশের সঙ্গে দু’বার সিমলা দুধঘাটার বাড়িতে এসেছিলেন। মাস দুয়েক আগে পলাশের মা জানতে পারেন সিমলার সঙ্গে তার ছেলের ছাড়াছাড়ি অবস্থা চলছে। এরপর সিমলার সঙ্গে পলাশের ডিভোর্স হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত নন তার মা।

পলাশের বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। তিনি দীর্ঘদিন কুয়েতে ছিলেন। প্রবাসে থেকে পাঠানো টাকা পলাশ দু’হাতে খরচ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তার মা। দুই বছর আগে পলাশের বাবা কুয়েত থেকে ফিরে দেখেন তার পাঠানো টাকার বেশিরভাগই ছেলে মাদকের পেছনে খরচ করেছে। এরপর থেকে বাবার সঙ্গেও খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছিল পলাশের। তার বাবা পিয়ার জাহান স্থানীয়ভাবে দুধঘাটা গ্রামের মুদির দোকান করেন।