টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে চার দিনব্যাপী ইজতেমা শুরু হয়েছে। ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মাধ্যমে এবার ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথম বারের মতো এবার চারদিনের ইজতেমা তাবলিগের দুটি পক্ষ দুদিন করে পৃথকভাবে পরিচালনা করবে।
সুষ্ঠুভাবে ইজতেমার কার্যক্রম চালাতে প্রশাসন থেকে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিয়োজিত আছে আইশৃঙ্খলার বাহিনীর ১০ হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী।
১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এক পক্ষের (মাওলানা জোবায়ের) পন্থীদের পরিচালনায় ইজতেমা। তারা ইজতেমা ময়দান বুঝিয়ে দেবেন দ্বিতীয় পক্ষের (সা’দ পন্থীদের) কাছে।
এর আগে দুই পর্ব তিনদিন করে ৩২ জেলা বিভক্ত হয়ে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হলেও এবার একই সঙ্গে চারদিন হবে বিশ্ব ইজতেমা। আর এতে এবার ৩২ জেলার মুসল্লিরা বিভক্ত না হয়ে অংশ নেবেন সব জেলার মাওলানা যোবায়ের অনুসারী ও মাওলানা ওয়াসিফুলের (সা’দ আহমাদ) অনুসারীরা।
ইজতেমা উপলক্ষে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ইজতেমায় অপ্রীতির যেকোনো ঘটনা এড়াতে নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিংয়ে র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে এবং প্রায় ১৭টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো ইজতেমা ময়দান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেই সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ইজতেমা মাঠের ভেতরে খিত্তায় খিত্তায় অবস্থান করবেন।
কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ করতে বসানো হয়েছে প্রায় ৫০০টির মত সিসি ক্যামেরা। ডিএমপি থেকে ডগ স্কোয়াড, বোম ডিসপোজাল টিম এবং ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম থাকবে ইজতেমায়। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিদের সেবায় ১৩৮টি বিশেষ ট্রেন ও বিআরটিসির ৩০০টি বিশেষ বাস সার্ভিস দেবে।