নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এবার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। উপজেলার পূর্বচরবাটা ইউপির দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামে স্কুলের পাশে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিমের চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে রাতেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ একই গ্রামের ধর্ষক ইসরাফিল আজাদ খোকন ও মো. নিজাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শনিবার বিকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিমের মা বাড়ি থেকে হাতিয়া যাওয়ার সময় ভিকটিম তাকে এগিয়ে দেয়ার জন্য বুড়ার দোকানের কাছে যায়। পরে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি চালক স্বপন ভিকটিমকে তার গাড়িতে উঠতে বলেন। তখন সে সিএনজি চালক স্বপনকে তার কাছে ভাড়ার টাকা নেই বলে সিএনজিতে উঠবেনা বলে জানায়। এসময় স্বপন ভিকটিমকে ভাড়া ছাড়াই বাড়ি পৌছে দেয়ার কথা বলে অটোতে তুলে নেয়। এরপর ভিকটিমকে অটোতে নিয়ে স্বপন বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে রাত ৯টার দিকে ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের শাহজাহানের বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে আসে। সেখানে নিজাম নামে আরো একজন অপেক্ষা করে। পরে রাতে স্বপন ও নিজাম দুজন মিলে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। শুক্রবার সকালে ভিকটিম বাড়িতে এসে তার পরিবারকে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে ভিকটিমের বড় ভাই ওই রাতেই স্বপন ও নিজামকে আসামি করে চরজব্বর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন

চরজব্বর থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইব্রাহীম খলিল যুগান্তরকে জানান, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, একই উপজেলায় চর জুবলী ইউনিয়নের মধ্যম চরবাগ্গা গ্রামে ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থীকে ভোট দেয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অপরদিকে কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে ইউপি যুবদলের নেতার অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীকে একই ইউপির যুবলীগ নেতাসহ ৫-৬ জন ১৮ জানুয়ারি ধর্ষণ করে।