খেলাধুলা | তারিখঃ ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 551 বার
ব্যর্থতার দায়ে কোচ হোসে মরিনহোকে বরখাস্ত করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ ক্লাবটি গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়। আড়াই বছর দায়িত্বে থাকাকালে ৫৫ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ কোচ ইউনাইটেডকে ইউরোপা লিগ ও লিগ কাপের শিরোপা জিতিয়েছিলেন। কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চাইতে ১৯ পয়েন্টে পিছিয়ে বর্তমানে ষষ্ঠস্থানে আছে ম্যান ইউ। গত রবিবার এই লিভারপুলের কাছেই ৩-১ গোলে হারের পর মরিনহোর বরখাস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তার মধ্যে যোগ হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্রয়ে তাদের কঠিন প্রতিপক্ষের সামনে পড়া।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড জানিয়েছে মৌসুম অবশিষ্ট সময়ের জন্য তারা একজন ভারপ্রাপ্ত কোচকে নিয়োগ দিবে। ২০১৬ সালে মে মাসে লুই ফন গলের কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়েছিলেন মরিনহোর জায়গায় সহকারী কোচ মাইকেল ক্যারিক কিংবা একাডেমির দায়িত্বে থাকা নিকি বাটকে আনা হচ্ছে না। ক্লাবের বাইরে থেকেই নতুন কোচ বেছে নেয়া হবে। তবে নতুন কোচ হিসেবে আর্সেনালের সাবেক কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারও বিবেচিত হচ্ছেন না।
চলতি মৌসুমজুড়েই মরিনহোর বরখাস্তের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছিল। ক্লাবটি এ পর্যন্ত ১৭ ম্যাচ খেলে লিগে কেবল ২৬ পয়েন্ট পেয়েছে। এটি হলো ১৯৯০-৯১ মৌসুমের পর লিগের এ পর্যায়ে তাদের সবচাইতে খারাপ ফল।
পল পগবার সাথে মরিনহোর খারাপ সম্পর্কও এ বরখাস্তে উপাদান জুগিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। লিভারপুলের বিরুদ্ধে খেলাটিতে ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডের পগবাকে বসিয়ে রেখেছিলেন কোচ মরিনহো। উলভের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র হওয়া খেলাটির পগবা ইউনাইটেডকে আক্রমণাত্মক হতে বলে টুইট করেছিলেন। তখন থেকেই দুজনের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে।
এ বছরের জানুয়ারিতে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো মরিনহো বরখাস্তের পর পগবা দৃশ্যত সন্তুষ্টি প্রকাশ করে টুইট করেছিলেন। তবে পরে তা মুছে দেন ফ্রান্স মিডফিল্ডারটি।
পর্তুগিজ এই কোচ অবশ্য অক্টোবরেই বরখাস্ত হতে পারতেন বলে খবর বেরিয়েছিল। কিন্তু সে সময় নিউক্যাসলের বিরুদ্ধে প্রথমে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও পরে ৩-২ ব্যবধানে জেতায় শেষ পর্যন্ত রক্ষা পান। যদিও শেষ রক্ষা তার হলো না। সর্বশেষ এই বরখাস্তে কোনো ক্লাবেই তার চতুর্থ মৌসুমে যেতে না পারার ঘটনা অব্যাহত থাকলো। মরিনহো একবারই কেবল চতুর্থ বছরে গড়িয়েছিলেন। সেটি ছিল চেলসিতে তার প্রথম মেয়াদকালে। কিন্তু সেবার তিনি চতুর্থ বছরে গেলেও মৌসুমটি শেষ করতে পারেননি।
এ দিকে, বিবিসি-এর এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফারগুসনের পর সাম্প্রতিক চার কোচের হিসেবে মরিনহো আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছেন ডেভিড ময়েস ও ফন গল। ১৫০০ খেলার দায়িত্বে থাকা ফারগুসনের জয়ের হার হলো ৫৯.৬৭%। ১৪৪ খেলায় মরিনহো ৫৮.৩৩%। ময়েস ও ফন গল যথাক্রমে ৫২.৯৪% ও ৫২.৪৩%। বিবিসি।
Leave a Reply