ক্যারিবিয়ানরা টেস্ট সিরিজ হারের পর এবার ওয়ানডেতেও সিরিজ হারলেন ২-১ ম্যাচে৷ সিলেটে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হেসেখেলে ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ৷

আর এই জয় নির্ধারিত হয়েছে ১১ ওভার ৩ বল বাকি থাকতেই৷ গল্পটা সম্ভবত লেখা হয়ে গেছে টসেই৷ আগের ম্যাচে পরাজয় এসেছিল আগে ব্যাট করে৷ তাই তৃতীয় ম্যাচে মাশরাফি টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠালেন উইন্ডিজ দলকে৷
আগের ম্যাচ জিতে সিরিজের আশা বাঁচিয়ে রাখা হোপ এদিনও খেললেন একাই৷ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত স্পিন আর পেস অ্যাটাকে একমাত্র তিনিই পরপর দু’ম্যাচে তুলে নিলেন শতক৷ বাকিদের প্যাভিলিয়নের পথ দেখালেন মিরাজ, মুস্তাফিজ, সাকিব, মাশরাফি ও সাইফুদ্দিনরা৷ মিরাজ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন৷ মুস্তাফিজ, সাকিব ও মাশরাফি নেন ২টি করে উইকেট৷ হোপের অপরাজিত ১০৮ ও অতিরিক্ত ১৬ রান বাদ দিলে বাকি সবাই মিলে করেন ৭৪ রান৷ মোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৯৮ রান৷
জবাবে ৪৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ৷ লিটন দাশ ফেরেন ২৩ করে৷ এরপর অভিজ্ঞ তামিম ও সম্প্রতি ফর্মের ঝলক ফিরে পাওয়া সৌম্য খুব দ্রুতই সহজ করে ফেলেন ম্যাচ৷ ৮১ বলে ৮০ করে যখন সৌম্য ফেরত যান তখন জিততে প্রয়োজন আর ২৩ রান৷ মুশফিককে সাথে নিয়ে ৮১ রানে অপরাজিত থাকা তামিম সহজেই সময়ের অনেক আগেই পৌঁছে যান গন্তব্যে৷ ম্যাচসেরা হন মিরাজ৷
ওয়েস্ট ইন্ডিজের একমাত্র স্বান্ত্বনা দুই সেঞ্চুরির কল্যাণে শাই হোপের সিরিজসেরা হবার স্বীকৃতি৷