জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ ডিসেম্বর ১২, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 452 বার
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরুর দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার নোয়াখালীতে মোঃ হানিফ নামে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হামলাকারীরা বিএনপির সমর্থক বলছে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপি বলছে, ওই নেতা আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে নিহত হয়েছেন।
এদিকে ফরিদপুরে নির্বাচন নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে ইউছুফ আল মামুন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলাকারীরা বিএনপির নেতাকর্মী বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারে নামা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে।
এতে অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরের ৭টি গাড়িসহ সাত জেলায় কমপক্ষে ১৪টি গাড়ি ও ৩৮টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি স্থানে নির্বাচনী অফিস, বিএনপির সমর্থকদের ৫টি বাড়ি ও কয়েকটি দোকানে ভাংচুর-আগুন ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষও হয়েছে। এসব ঘটনার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগকে দায়ী করলেও দলটির নেতাকর্মীরা তা অস্বীকার করেছেন। সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালীতে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। যুগান্তর রিপোর্ট, ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ঠাকুরগাঁও : মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানারহাট এলাকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ হামলার খবর নিশ্চিত করলেও কারা গাড়িতে হামলা করেছে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি। মির্জা ফখরুল ওই এলাকায় নির্বাচনী পথসভা করছিলেন।
এ সময় একদল লোক হামলা চালিয়ে ৬-৭টি গাড়ির কাচ ভেঙেছে। আওয়ামী লীগের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখানে আসামাত্রই আমাদের গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে। আমাদের গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য এ হামলা হয়েছে। আমি আমার লোকজনকে বলেছি কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। আমরা নির্বাচনে যাব এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখব।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা দু-তিনটা গাড়ি ভাংচুর হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে কারা গাড়ি ভেঙেছে সেটা তদন্তসাপেক্ষে বলা সম্ভব।
বগুড়া : ৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ধুনট বাজার এলাকায় হামলাকারীরা সিরাজের ব্যক্তিগত গাড়িসহ ৪টি গাড়ি ও অন্তত ১০ মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
হামলায় ১৬ নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করা হয়েছে। এর আগে সোমবার রাতে ধুনটের রাঙ্গামাটি গ্রামে যুবদল সদস্য মুরাদ হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করা হয়। মুরাদের বাড়ি পরিদর্শন ও ধুনটে নির্বাচনী কর্মসভায় অংশ নিতে গাড়িবহর নিয়ে যাচ্ছিলেন সিরাজ।
এ ঘটনায় তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি হাবিবর রহমান ও তার ছেলে সনির বাহিনীকে দায়ী করেছেন। ফোন না ধরায় এমপি ও তার ছেলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ধুনট উপজেলা সহকারী রির্টানিং ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নরসিংদী ও পলাশ : বিএনপির প্রার্থী ড. আবদুল মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারে হামলা চালিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলাবার বিকালে নির্বাচনী এলাকার আমদীয়া ইউনিয়নের বেলাব নামক স্থানে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় হামলাকারীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও ৪টি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ছাড়া এ ঘটনায় ছাত্রদল ও যুবদলের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পলাশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার আলম জানান, হামলার ঘটনাটি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নোয়াখালী : নোয়াখালী সদর উপজেলায় যুবলীগ নেতাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে মাথা থেঁতলে গুলি করে হত্যা করেছে বলে দাবি করছে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার কালাদরাফ ইউনিয়নের নুরু পাটোয়ারির হাটের পূর্ব পাশে এওজবালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নুরু পাটোয়ারি হাটে বিএনপি একটি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে তারা একটি মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন হানিফ।
তখন বিএনপির মিছিলকারীরা প্রথমে হানিফের ওপর মরিচের গুঁড়া ছিটায় এবং পরে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দিয়ে গুলি করে। এ সময় তার চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। হানিফকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ঘটনা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, মো. হানিফকে বিএনপির কর্মীরা পায়ে গুলি করে খুন করছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এদিকে কবিরহাটে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদর কর্মীদের মিছিলে দফায় দফায় বাধা ও হামলায় অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে মওদুদের পথসভা পণ্ড হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কেজি স্কুল প্রাঙ্গণ, নতুন হাসপাতাল সড়ক, পৌরসভা প্রাঙ্গণ, জিরো পয়েন্ট, কলেজ গেটসহ ৯টি স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। একই সময় কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জুর বাসা ও দোকানে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা ছাত্রদল সদস্য মিল্লাত হোসেন, ছাত্রদল সহসভাপতি মোহন, শাহিন, ঘোষবাগ ইউপি সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ছালাহ উদ্দিন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সোমবার রাতে হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মীরা বিএনপি সমর্থক ব্যবসায়ীদের ৫টি দোকান ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে এসব অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
ফরিদপুর : : সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে কথাকাটাকাটির জেরে ইউসুফ আল মামুন (৪০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গী গ্রামের নুরা বেপারির ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আল মামুন গোলডাঙ্গী বাজারে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন সেখানে এসে নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে তর্কে লিপ্ত হয়। মামুনকে কটাক্ষ করে নানা মন্তব্য করে তারা। মামুন প্রতিবাদ করলে তার ওপর চড়াও হয় তারা। মামুনকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে।
এতে মামুন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় হামলাকারীরা লালন ফকির নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। তাকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা মামুনকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে হত্যা করেছে। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লোকমান হোসেন মৃধা জানান, স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা মামুনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। কোতোয়ালি থানার ওসি এএফএম নাসিম জানান, মামুন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে- এমন সংবাদ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা : সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় আলমডাঙ্গার মুন্সীগঞ্জ পশুহাট চত্বর এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের ৭ জন আহত হন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন শরীফুজ্জামান শরীফ। তবে আওয়ামী লীগের দাবি বিএনপির লোকজন তাদের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে।
সাতক্ষীরা : সোমবার রাতে সদর আসনের বৈকারি ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রতীকের বিপুলসংখ্যক পোস্টার পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তারা বিএনপি সমর্থকদের অন্তত তিনটি বাড়িতে হামলা, একটি দোকান ভাংচুর ও কয়েকজন সমর্থককে মারধর করেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ইনজামামুলের নেতৃত্ব এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ উল্টো জালাল মেম্বরসহ জামায়াত-বিএনপি সমর্থক তিনজনকে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করেছে।
পটুয়াখালী (দ.) ও রাঙ্গাবালী : রাঙ্গাবালীতে পাল্টাপাল্টি সভা ডাকাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে আটক করেছে। ওই স্থানে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত উঠোন বৈঠকের আয়োজন ছিল। হঠাৎ করে একই স্থানে সভা ডাকে রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগ। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়।
মানিকগঞ্জ : ৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী আফরোজা খান রিতার নির্বাচনী প্রচারে জয় বাংলা স্লোগানে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ১০ সমর্থক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে সাটুরিয়ার কালুশাহ মাজার প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি গাড়িও ভাংচুর করা হয়।
ঝিনাইদহ : ১ আসনের বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানের গাড়িসহ ২০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
নড়াইল ও লোহাগড়া : মঙ্গলবার বিকালে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুজ্জামান ফরহাদের লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এ সময় ৪ জন আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীরা অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে। এ আসনে ফরিদুজ্জামানের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ফুলপুর (ময়মনসিংহ) : ফুলপুর পৌরসভার গোদারিয়া গ্রাম থেকে ধানের শীষের পক্ষে মিছিল মঙ্গলবার বিকালে থানা রোডস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আসছিল। এ সময় ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া ও মারধর করে। এতে বিএনপির অন্তত ১৫ জন আহত হন।
পরে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী লাঠিসোঠা নিয়ে তাদের পাল্টাধাওয়া করে। তারা যুবলীগের কর্মিসভার সামনে রাখা ৫টি মোটরসাইকেলসহ শেরপুর রোডে উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় ভাংচুর করে। এ সময় আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ ও উল্লাপাড়া : মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের শক্তিপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় ৩টি মোটরসাইকেলে আগুন ও বিএনপি প্রার্থী ড. এমএ মুহিতের বাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। এদিকে সোমবার রাতে উল্লাপাড়া উপজেলার বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শুকলহাট নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মেহেরপুর : গাংনীতে বিএনপির নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। দুপুরে বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী জাভেদ মাসুদ মিল্টন দাবি করেন, সকালে ৮-১০ জন যুবক অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করে তাবু ছিঁড়ে ফেলে।
আওয়ামী লীগের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে জাভেদ মাসুদ বলেন, পুলিশকে অভিযোগ করা হলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা এখনও নেয়া হয়নি।
রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ : মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে শহরের খলিফাপট্টি এলাকায় চেয়ার ভাংচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নির্বাচনী সভা পণ্ড করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপি অফিসে সোমবার বিকালে নির্বাচনী সভার প্রস্তুতিকালে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি বিএনপির। এ ঘটনার পুলিশ উল্টো উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান-নূর ইসলাম মুন্নু মোল্ল্যাকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফী বলেন, বিএনপির দুটি গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নিজেরা মারামারি করেছে বলে জানতে পেরেছি। মুন্নু মোল্যাকে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল : ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী জয়নুল আবেদীনকে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর এলাকায় দলটির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙ্গা (ফরিদপুর) : ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ও এমপি মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
ভোলা : ৪ আসনে বিএনপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার রাতে চরফ্যাশন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে মামলা করেছেন প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলম। পুলিশের কাছে নিরাপত্তাও চান তিনি। এদিকে মঙ্গলবার তার প্রচার কাজে ব্যবহৃত দুটি মাইক ভাংচুর করার অভিযোগ করেন তিনি।
পত্নীতলা (নওগাঁ) : ২ আসনে বিএনপির গণসংযোগে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ধামইরহাট থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির গণসংযোগে ধামইরহাট সোনালী ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
Leave a Reply