রাজনীতি | তারিখঃ ডিসেম্বর ৬, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 551 বার
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে রংপুর ও জামালপুরের দুই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে তাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই দুই মামলার কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে এই দুই মামলার নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেনের পক্ষে আজ আদালতে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মাসুদ রানা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশিদুল আলম। এর আগে গত ৮ নভেম্বর এই দুই মানহানির মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। সে আবেদনে রংপুরের মানহানির মামলায় মইনুল হোসেনের জামিন চাওয়া হয়।
গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘একাত্তর জার্নাল’-এ রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির করা এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’
টকশোতে দেয়া বক্তব্যের ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ২২টির বেশি মামলা হয়। এর মধ্যে ২০টি মানহানির এবং ২টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা। পরবর্তীকালে রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় গত ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ৩ নভেম্বর মইনুল হোসেনকে ঢাকা থেকে রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ৪ নভেম্বর এ মামলায় মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে রংপুর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন রংপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
Leave a Reply