জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ অক্টোবর ২৮, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 459 বার
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংস্কারসহ ৮ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরদের ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে সারা দেশে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর আন্তঃনগর টার্মিনালগুলো থেকে কোনো বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি।
গত শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিবহন শ্রমিক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, সহ-সভাপতি ছাদিকুর রহমান হিরুসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
রাজধানী ঢাকায়ও বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। বিআরটিসির দুএকটি বাস চললেও তা নিতান্তই অপ্রতুল হওয়ায় বেশিরভাগ নগরবাসীকে নির্ভর করতে হচ্ছে অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সার্ভিস বা পায়ের উপর। প্রধান সড়কগুলোতে কিছু রিকশা চলাচল করলেও অফিসগামী যাত্রী আর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যানবাহনের আশায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে প্রতিটি মোড়ে।
এদিকে পরিবহন শ্রমিকরা এই কর্মসূচিকে কর্মবিরতি বললেও রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট তারা অন্য যানবাহন চলাচলেও বাধা সৃষ্টি করছেন। বিআরটিসিরি ডিপোগুলো থেকে জানানো হয়, তাদের বাসগুলো আটকে দেয়া হচ্ছে। এমনকি বিক্ষোভরত পরিবহনশ্রমিকরা এসব বাসের চালক ও সহকারীদের মারধর করছে। গাবতলী ডিপোর ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান অভিযোগ করেন, পরিবহনশ্রমিকরা কোনো গাড়িগুলোকে পথে আটকে দিচ্ছে। সকাল থেকে অনেকগুলো বাস ছাড়া হলেও সেগুলো পথের বিভিন্ন জায়গায় আটকে আছে।
অপরদিকে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আলহাজ মুকবুল আহমেদ ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম পণ্যবাহী যান চালানোর জন্য মালিক শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ পণ্যবাহী যানচলাচল সচল রাখার ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
Leave a Reply