প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ভিভিআইপি ফ্লাইটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু মাসুদা মুফতির মদ্যপানের প্রমাণ পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মাদক সেবন পরীক্ষায় (ডোপ টেস্ট) মদ্যপানের প্রমাণ মেলায় তাকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত (গ্রাউন্ডেড) রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নুরুজ্জামান রঞ্জুর বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

প্রতিটি ফ্লাইট ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের আগেই পাইলট ও ক্রুরা মাদক গ্রহণ করেছেন কিনা, তা নিশ্চিত করতে বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এই মাদক সেবন পরীক্ষার বিধান চালু করেছে। বৃহস্পতিবার বিমানের ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা ফ্লাইটে কেবিন ক্রু হিসেবে তাকে দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। কিন্তু ফ্লাইট ছাড়ার আগেই পরীক্ষায় তার মাদক সেবনের বিষয় ধরা পড়ে। এ সময় তাকে ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। প্রচলিত বিধান অনুযায়ী ডোপ টেস্টে প্রমাণ মিললে কোনো ব্যক্তিকে পরবর্তী ৯০ দিন ডিউটি না দেওয়ার কথা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রেখে নুরুজ্জামান রঞ্জু পরদিন শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ঢাকা থেকে লন্ডনগামী ভিভিআইপি ফ্লাইটে তাকে কেবিন ক্রু হিসেবে দায়িত্ব দেন। ফ্লাইটে আরোহণের পর তার শরীরে মদ্য পানের ক্রিয়া আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষায় মদ্য পানের প্রমাণ মেলে।

২০০১ সালে মাসুদা মুফতি বিমানে চাকরিতে যোগ দেন। অনেক আগে থেকেই তিনি মদ্য পানে আসক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএম মোসাদ্দিক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।