জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 525 বার
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর লালবাগের হোসনি দালান থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শেষ হবে ধানমন্ডি লেকে গিয়ে।
মিছিলে অংশ নিয়েছেন শিয়া সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ। এ সময় ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ বলে মাতম করছেন অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়াও বুক চাপড়ে শোক প্রকাশ করছেন তারা।
এদিকে শিয়া সম্প্রদায়ের এ মিছিলকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সামনে ও পেছনে পুলিশি পাহারায় মিছিলটি ধানমন্ডি লেকের দিকে রওনা হয়েছে।
এছাড়া সায়েন্সল্যাব, জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড, রাইফেল স্কয়ার ও ধানমন্ডি লেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিছুক্ষন পর পর ধানমন্ডি জোনের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন। এছাড়া ধানমন্ডি লেকে জনসাধারণের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ইমামবাড়া থেকে ধানমন্ডি লেক পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। মিছিলের সঙ্গেও রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। এছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপক গাড়ি ও সাজোয়া যান।
এর আগে গত মঙ্গলবার হোসনি দালান ইমামবাড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে হোসনি দালান থেকে ধানমন্ডি লেক পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ও ডগ স্কোয়াড নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এ ছাড়া কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াত টিম প্রস্তুত থাকবে।
উল্লেখ্য, আজ ১০ মহররম। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার যুদ্ধে ৬১ হিজরি সনের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হুসাইন (রা.) ফোরাত নদীতীরের কারবালা প্রান্তরে পরিবারের সদস্য ও সঙ্গীসহ শাহাদাত বরণ করেন। আরবিতে আশুরা অর্থ ১০। শোকের এ দিনটি তাই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে আশুরা নামে পরিচিত।
শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানরা বিশেষভাবে পালন করলেও সব মুসলমানের কাছেই এ দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। হাদিস শরিফ ও প্রাচীন ধর্ম ইতিহাস মতে, মহররমের ১০ তারিখ বা আশুরাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঐশী ঘটনা ঘটেছে। তাই যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়।
Leave a Reply