হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্থানীয় একটি কটন মিলের এক নারী শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ধর্ষণের শিকার নারী শ্রমিককে উদ্ধার করে। পরে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ উপজেলার মীরনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো মীরনগর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২২), আবু জাহেরের ছেলে শাহ আলম (৩৬), আঞ্জব আলীর ছেলে নুর রহমান (৩৭) এবং পূর্ব মাধবপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে এমরান মিয়া (২৫)।

রোববার রাতে উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া হাওরে নোয়াপাড়ার স্থানীয় একটি কটন মিলে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে অপহরণ ও গণধর্ষণের মামলা করেছেন।
পুলিশ ও মামলার বাদী জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ওই নারী জীবিকার তাগিদে নোয়াপাড়ার একটি কটন মিলে শ্রমিকের কাজ নেয়। মিলে আসা-যাওয়ার পথে পূর্ব মাধবপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে এমরান মিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। প্রায়ই ওই নারী শ্রমিকের সঙ্গে এমরানের মোবাইল ফোনে কথাবার্তা হহো।

একপর্যায়ে ওই নারী শ্রমিকের সঙ্গে এমরানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১৫ জুলাই রাত ৮টায় এমরান মিয়া ফোন করে ওই নারী শ্রমিককে নোয়াপাড়া নিয়ে আসে। নোয়াপাড়া থেকে একটি সিএনজিযোগে তাকে মীরনগর গ্রামে একটি বাড়িতে রাখে। সেখান থেকে কৌশলে এমরান অন্যান্য বন্ধুদের ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে হাড়িয়া হাওরে নিয়ে অপহরণ করে নেয়।

সেখানে তাকে পালাক্রমে সাত যুবক ধর্ষণ করে তাকে মাঠে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সে কোনো রকমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উঠলে মাধবপুর থানার টহল পুলিশের এসআই জাঙ্গাঙ্গীর আলমের নজরে পড়ে। তার বক্তব্য শুনে এসআই জাহাঙ্গীর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে জানালে থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে মীরনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত চারজনকে গ্রেফতার করে।

খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ওই নারী শ্রমিককে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিকটিমকে চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।