জৌতিষ পরামর্শ | তারিখঃ মে ১৩, ২০২১ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3077 বার
রক্তপ্রবাল চেনার উপায়ঃ-
❤ ১ – কিছুটা তুলোর ভেতর রক্তপ্রবাল সূর্যালোকে তিন থেকে চার ঘণ্টা রাখলে তুলোতে আগুন লেগে যায়।
❤ ২ – রক্তপ্রবাল দুধে (কাঁচা গোদুগ্ধ) তিন থেকে চার ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখলে দুধ লাল বর্ণের হয়।
❤ ৩ – রক্তের মধ্যে রক্তপ্রবাল রাখলে রক্ত জমাট বেধে যায়।
♦রক্তপ্রবাল এর আয়ুর্বেদিক শোধন হলোঃ-♦
✅ক্ষার জলে (Na2CO3 বা NaOH মিশ্রিত) চব্বিশ ঘন্টা রাখলে রক্তপ্রবাল শোধিত হয়।
🔴 রক্তপ্রবালের Composition ও প্রপ্তিস্থানঃ-
রক্তপ্রবাল হলো সমুদ্রের নিচে জন্মানো গাছের ফল। ডুবুরিরা তুলে এনে Cutting করে শুকনো করে তারপর তা বিভিন্ন দোকানে (পাথর বা সোনার) দোকানে সরবরাহ করা হয়।
🔴 ইটালির রক্তপ্রবাল (লাল) ও জাপানি রক্তপ্রবাল সর্বশ্রেষ্ঠ। এরমধ্যে জাপানি রক্তপ্রবাল এক নম্বরে বা প্রথম সারিতে। দাম খুব বেশি। এটি দুষ্প্রাপ্য শ্রেণির। বেশিরভাগ দোকানে ইটালিয়ান রক্তপ্রবাল পাওয়া যায়।
🔴 প্রবাল চার ধরনের হয়। সাধারণ রক্তপ্রবালের দাম একটু বেশি। কিন্তু Ox – blood রক্তপ্রবালের দাম আরো বেশি। এছাড়া গৈরিক রক্তপ্রবাল (মঙ্গল ও বৃহস্পতির জন্য) এর দাম খুব কম। সাদা –
শ্বেতপ্রবাল ( White coral) এর দাম আরো কম। মঙ্গল, শুক্র, চন্দ্রের জন্য এটি ধারণ করা হয়। আন্দামানের বঙ্গোপসাগরে প্রচুর শ্বেতপ্রবাল জন্মায়।
🔴 এর রাসায়নিক নাম Calcite। এটি ব্যবহারে ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। কাঠিন্য সংখ্যা 3। আপেক্ষিক গুরুত্ব 2.68।
💯মঙ্গল গ্রহের অশুভতা থেকে রক্ষা পেতে – রক্তপ্রবাল ধারণ করা উচিৎ।
✅Dose = ১০/১১ রতি।
রক্তপ্রবাল দুই ধরনের হয়। – জাপানি ও ইটালিয়ান। এরমধ্যে জাপানি রক্তপ্রবাল সর্বশ্রেষ্ঠ।
🔴 উপরত্নঃ- ব্ল্যাক স্যাফেয়ার।
পুরুষদের ক্ষেত্রে ৯ – ১৮ রতি, নারীদের ক্ষেত্রে ৭ – ৯ রতি। কালো আভাযুক্ত উজ্জ্বল স্বচ্ছ রত্ন ধারণ করতে হয় মঙ্গলবারে।
🔴 রক্তপ্রবাল ধারণের তেজ, সাহস, বিক্রম বৃদ্ধি হয়। ভূ-সম্পত্তি – মানে জমি-জায়গা গৃহবাড়ি বৃদ্ধি হয়।( মনে রাখবেন জমিজমা ও বাড়ির কারক গ্রহ মঙ্গল)। হঠকারিতা কমে যায়। রাগ জেদ ও মাথাগরমের প্রবনতা কমে যায়। ক্ষিপ্রতা কমে যায়। বিবাদ, মামলা, দুর্ঘটনা ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তীক্ষ্ণ বুদ্ধির উদয় হয় অংকে দক্ষতা বাড়ে। কলকারখানা, খনিজ দ্রব্য, ঔষধ ইত্যাদি কর্মে সফলতা লাভ হয়। পৌরষত্ব বৃদ্ধি হয়। অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শত্রুতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। মানসিক দৃঢ়তা বজায় থাকে। ছোট ভাইয়ের সহিত সুসম্পর্ক বজায় থাকে। টেকনিকেল জ্ঞান লাভ হয়। রসায়নে উন্নতি করা যায়। পুলিশ, মিলিটারি, সার্জেন ডাক্তার, প্রতিরক্ষা বা শাসন বিভাগের চাকরিতে সফলতা প্রাপ্তি হয়।
🔴 রক্তপ্রবাল ধারণের যে সকল রোগ থেকে মুক্তি লাভ হয়ঃ-
✅অর্শ, ভগন্দর, রক্তাল্পতা, রক্তঘটিত যেকোনো রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও, (কারণ মঙ্গল রক্তের কারক গ্রহ), রক্ত আমাশা, বসন্ত, রক্তদুষ্টি, হাম, ঠোঁটের রোগ, আন্ত্রিক রোগ, এসিডিটি, কোলাইটিস, বাত, হার্নিয়া, টিটেনাস, গেঁটেবাত, ম্যালেরিয়া, কুষ্ঠ, দাদ, চুলকানি, রক্তস্রাব, কলেরা,ব্রণ, টিউমার, (মঙ্গল +শনি+ রাহু) যোগে ক্যান্সার, আপেন্ডিসাইটিস, পেটের গোলমাল ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
🔴রক্তপ্রবাল ধারণের যেসব পেশাতে সফলতা পাওয়া যায়ঃ-
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
✅পুলিশ বা মিলিটারীতে চাকরী, ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ার, রসায়নবিদ, ভূ-তত্ত্ববিদ (Geologist), কারখানার মালিক বা কর্মী এইসকল পেশাতে কিন্তু দারুণভাবে সফলতা পাওয়া যায়।
🔴 উপযোগিতাঃ- রক্তপ্রবাল ধারণের জমি সংক্রান্ত নানা ঝঞ্ঝাট, দুর্ঘটনা ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হোটেলের ব্যবসাতে দারুণভাবে সফলতা দেয়। এছাড়া নানা রোগ যেমন রক্ত দোষ, রক্ত শোধক, মঙ্গল জনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। তাই যাদের মঙ্গলের দোষ থাকে তাদের রক্তপ্রবাল ধারণ করিবার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া হৃদরোগ, বাচ্চাদের নজর লাগা, নিউমোনিয়া, আসার রোগ, ক্যান্সারের কষ্ট লাঘব ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভীষন লাভ দায়ক হয়।
🔴 তান্ত্রিকদের মতে বিবাহ সম্পন্ন করতে রক্তপ্রবাল ভীষণভাবে কার্যকরী।
✅ব্যবহারঃ- সোনা, চাঁদি কিংবা সোনা চাঁদি মিশিয়ে মঙ্গলবার রক্তপ্রবালর আংটি তৈরি করে পরের মঙ্গলবার আয়ুর্বেদিক শোধনের পরে গঙ্গাজল, কাঁচা দুধ ও মধুতে ডুবিয়ে রাখিতে হবে সূর্যোদয়ের আধ ঘণ্টা আগে। তারপর সাড়ে এগারোটার আগে অনামিকাকে ধারণ করুন। ধারণ করার পর ” ওঁ হ্রীং ক্রীং ক্রৌং ক্রৌং সঃ ভৌমায় ” মন্ত্রটি ২১ বার জপ করতে হবে। মহিলারা প্রবালের আংটি বাম হাতের অনামিকাতে ধারণ করবেন।
Leave a Reply