জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ জুন ৮, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 385 বার
১ হাজার ১৮১ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে । গতকাল রোববার (৭ জুন) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ এর ৭(ঝ) ধারা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৪৭ জন এবং বিজিবির ১ হাজার ১৩৪ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধ কাউন্সিল আইন, ২০০২ (৮ নং আইন) সনের ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী জামুকার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর বিজিবি ও বিমান বাহিনীতে যোগদানকৃতদের মুক্তিযোদ্ধ গেজেট বাতিল করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।
তাতে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গেজেট বাতিল করা প্রজ্ঞাপন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.molwa.gov.bd) পাওয়া যাবে।
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ মেনে নিয়েই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া বাতিল করেছে সরকার।
দেশে এখন মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখের বেশি। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে অনলাইনে ও সরাসরি আরও দেড় লাখ আবেদন জমা পড়ে। তাঁদের মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে প্রায় ২৫ হাজার নাম পাঠানো হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পাঁচ হাজার ব্যক্তির নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেলা-উপজেলা থেকে যেসব প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে, তা বিবেচনার যোগ্য বলে মনে হয়নি।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, কমিটিগুলো শুধু সুপারিশ করেই দায়িত্ব শেষ করেছে। কিন্তু কেন একজনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সুপারিশ করল, তার ব্যাখ্যা নেই।
জামুকা সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে কমিটির সব সদস্যের স্বাক্ষর নেই, মুক্তিযুদ্ধ করার প্রমাণ নেই, বয়স প্রমাণের সনদ নেই, যে ছকে তথ্য দেয়ার কথা, তা যথাযথভাবে পূরণ করা হয়নি, কমিটির সভার কার্যবিবরণী নেই, কিছু কিছু এলাকার তালিকায় অস্বাভাবিক সংখ্যায় ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
Leave a Reply