অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ জুন ৬, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 448 বার
চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ৪ বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) চার বছর পার হলেও এই মামলার চার্জশিট দিতে ব্যর্থ হয়েছে । চাঞ্চল্যকর এই মামলার কোনো কূল কিনারাও করতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত মামলাটির তদন্তভার ‘আদালতের নির্দেশে’ গত জানুয়ারিতে চলে যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই)।
পিবিআই গত জানুয়ারিতে মামলার ডকেট বুঝে পেলেও এখনও তদন্তকাজ শুরু করতে পারেনি । তবে পিবিআই কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, মামলার তদন্তকাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ তা শেষ হবে তা বলতে পারেননি।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দীন বলেন, মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্বে পিবিআইতে হস্তান্তর হয়েছে। গত জানুয়ারিতে মামলার ডকেট বুঝে পেয়েছি। তদন্তকাজ চলছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু । এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া নামে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
এই হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আটক হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয় যেটি মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল তখন।
গ্রেফতার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মূছার।
মিতুর বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশারফ হোসেন মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারকে দায়ী করেন। তিনি তদন্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগের সাপেক্ষে বেশ কিছু ক্লু দেন বলে জানান মোশারফ হোসেন।
২০১৭ সালের ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বাবুল আক্তারকে।
মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন বলেন, আগের তদন্ত কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে গত তিন বছরে কখনও যোগাযোগ করেননি। তিনি মামলাটি ফাইলবন্দি করে রেখেছেন এতোদিন। মামলাটি তদন্তের জন্য অন্য একটি সংস্থার কাছে স্থানান্তর হয়েছে সেটিও আমরা জানতাম না। এ মামলা নিয়ে এতো লুকোচুরি কেন? আমি সন্তান হত্যার বিচার চাই। অপরাধী যেই হোক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মিতু হত্যার মামলার আগের তদন্ত কর্মকর্তা ও সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, মিতু হত্যা মামলাটি আদালতের নির্দেশে পিবিআইতে হস্তান্তর হয়েছে। গত জানুয়ারিতে ডকেট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মামলার অগ্রগতি কতটুকু ছিল তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন মো. কামরুজ্জামান।
এ বিষয়ে কথা বলতে শুক্রবার বাবুল আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
Leave a Reply