গাজীপুরে প্রায় ১১ বছর ঘরে আটকে রেখে এক যুবতীকে ধর্ষণ ও মারধরের দায়ে এক কবিরাজকে আটক করেছে র‌্যাব-১’র সদস্যরা। আটক কবিরাজের নাম হাজী মোঃ শামছুর রহমান (৫৫)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন থানাধীন চান্দনা রওশন সড়ক এলাকার মৃত আব্দুল গণির ছেলে। সোমবার বিকেলে র‌্যাব-১’র পোড়াবাড়ী স্পেশালাইজ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

র‌্যাব-১ এর ওই কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার আন্ডার গ্রাউন্ড মার্কেটে গনি মিয়ার কবিরাজ ঘরে বসে বিভিন্ন মহিলাদের তাবিজের তদবির করেন কবিরাজ হাজী মোঃ শামছুর রহমান। সেই সুবাদে প্রায় ১০/১১ বছর আগে পরিচয় হয় ভিকটিমের সঙ্গে। খুলনার পাইক গাছা থানা এলাকার ওই যুবতী গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন ইমনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মাঝে সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সুযোগে ওই যুবতীকে বিয়ে না করেই ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে ভন্ড কবিরাজ শামছুর রহমান। প্রায় ১১ বছর ধরে ধর্ষণের কারণে ভিকটিম ৫/৬ বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শামছুর রহমান বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বারবার গর্ভপাত করিয়ে ফেলে। বিষয়টি বাবা-মাকে জানাতে চাইলে ভিকটিমকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি দেখায় ওই ভন্ড কবিরাজ। রবিবারও ওই যুবতীকে ঘরে আটকে রেখে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও ভয়ভীতি দেখায় শামছুর রহমান।

এ গোপন সংবাদ পেয়ে ওইরাতে কবিরাজ হাজী মোঃ শামছুর রহমানকে আটক করে র‌্যাব-১’র পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা। এ ঘটনায় সোমবার ভিকটিম বাদী হয়ে জিএমপি’র গাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব’র জিজ্ঞাসাবাদে আটক কবিরাজ হাজী শামছুর রহমান জানায়, তাদের দু’জনের কোন বিবাহ হয় নাই ও কোন কাবিন নামা নাই। সে দীর্ঘদিন যাবত ভিকটিমকে ভয় দেখিয়ে তার একটি বাসায় আটক রেখে ধর্ষণ করে আসছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভণ্ড কবিরাজ আরও স্বীকার করেন যে, নারী রোগীদের নানা কৌশলে তিনি ধর্ষণ করতেন ।