গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার পৃথক স্থানে এক শিশু ও এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার দুইজনকেই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাঘাটার ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ যুবকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ও রাতে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মধ্য কঞ্চিপাড়া ও সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বাঁশহাটা গ্রামে ওইদিন রাত ৮টার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের কিশোরী মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। বাড়ির পাশে নানার বাড়িতে যাওয়ার সময় রাস্তার মধ্যে শাকিল মিয়া ও তার বন্ধু ফারুক মিয়া কিশোরীর মুখ চেপে ধরে পাট ক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতা কিশোরীর চিৎকারে বখাটে শাকিল ও ফারুক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাঘাটা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপর দিকে , গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মধ্য কঞ্চিপাড়া গ্রামের আজাদ মিয়ার দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুকন্যা বাড়ির উঠানে অন্য শিশুদের সাথে খেলছিল। এসময় প্রতিবেশী যুবক নয়ন মিয়া টাকার লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের ঘাস চাষের জমিতে নিয় ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতার চিৎকারে তার বাবা-মা ও প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে ফুলছড়ি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুক জানান, ধর্ষক নয়ন মিয়াকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।